বিশ্বজমিন

২০৩০ সাল নাগাদ শতকরা ৬৮ ভাগ বাংলাদেশী নারী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন

মানবজমিন ডেস্ক

১৪ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ১:০২ পূর্বাহ্ন

শতকরা প্রায় ৬৪ ভাগ বাংলাদেশী নারী জন্মবিরতিকরণ বা গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। ১৯৭০ এর দশকের তুলনায় এ হার অনেক অনেক বেশি। ডাটালিডসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ  করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণকারী পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে নারীদের গর্ভনিরোধকরণ বা জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতির আওতায় আসার মোট হারও বৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে এসব পদ্ধতির আওতায় আসা নারীর শতকরা হার পৌঁছাতে পারে ৬৮ তে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। এর প্রেক্ষিতে এশিয়ায় ব্যাপক হারে নারীরা জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করছেন। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি এসব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন চীনা নারীরা। তাদের হার শতকরা ৮৩.৪ ভাগ। এশিয়ার দেশগুলোতে জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থা ব্যবহারের হার শতকরা ৫০ ভাগ বা তার কিছুটা বেশি। সবচেয়ে কম এসব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় পাকিস্তানে। সেখানে ২০১৫ সালে এ হার ছিল শতকরা ৩৮.৫ ভাগ। জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স-এর ডাটা অনুসারে বিশ্বজুড়ে শতকরা ৬৪ ভাগ বিবাহিত অথবা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এমন নারী জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি বা প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহার করেন। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া বাদে এশিয়ার সব দেশেই নারীদের এই জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থা ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ছে। চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াতে এই হার ২০৩০ সাল নাগাদ যথাক্রমে শতকরা দুই ভাগ ও এক ভাগ কমে যেতে পারে। ১৯৭০ এর দশকে এশিয়ার মধ্যে কম্বোডিয়াতে এই হার ছিল সর্বনিম্ন। তবে গত চার দশকে সেখানে এই হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭০ এর দশকে সেখানে নারীদের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধবি ব্যবহারের শতকরা হার ছিল ০.৬ ভাগ। আর ২০১৫ সালে এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৫৭.৯ ভাগ। ২০৩০ সাল নাগাদ তা পৌঁছে যেতে পারে শতকরা ৬৭.২ ভাগে। অন্যদিকে ১৯৭০ সালে নেপালে এ পদ্ধতি ব্যবহার করতেন শতকরা মাত্র ১.৮ ভাগ নারী। কিন্তু ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২.৪ ভাগ। ভুটানে ১৯৭০ এর দশকে এই হার ছিল ১.৮ ভাগ। ২০১৫ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৬৭.৮ ভাগ। ২০৩০ সালে তা পৌঁছে যাওয়ার কথা ৭২.৮ ভাগে। লাওসে ২০১৫ সালে এই হার ছিল শতকরা ৫৩.৬ ভাগ। আগামী এক দশকে তা শতকরা ৬৩ ভাগে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মিয়ানমারে ১৯৭০ সালে এই হার ছিল শতকরা ২.৬ ভাগ। ২০১৫ সালে তা হয়েছে শতকরা ৫২ ভাগ। ২০৩০ সালে এ হার দাঁড়াবে ৬১.১ ভাগ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status