বিশ্বজমিন
প্রফেসর স্টিফেন হকিং আর নেই
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞানী, প্রফেসর স্টিফেন হকিং আর নেই। ৭৬ বছর বয়সে তিনি আজ দিনের প্রথম প্রহরে কেমব্রিজে তার নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার পারিবারিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ। এতে বলা হয়েছে, প্রফেসর স্টিফেন হকিংয়ের তিন সন্তান লুসি, রবার্ট ও টিম এক বিবৃতিতে তাদের পিতার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। তারা বলেছেন, আমাদের প্রিয় পিতা আজ বুধবার আমাদেরকে ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে বেদনাহত। তিনি ছিলেন একজন মহান বিজ্ঞানী। একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। তার কর্ম ও তার লিগেসি টিকে থাকবে বহু বছর। তার মেধাবী অধ্যবসায় ও সাহস সারাবিশ্বের মানুষকে উৎসাহিত করেছে। আমরা তাকে চিরদিন মিস করবো। বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে প্রফেসর হকিংয়ের তিন সন্তান তাদের পিতার প্রাইভেসি রক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এতটা বছর তার পাশে যারা ছিলেন, তাকে যারা সমর্থন দিয়ে গেছেন, তাদের সবার প্রতি। উল্লেখ্য, জগদ্বিখ্যাত এই পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিদ, গণিতজ্ঞ ১৯৬৩ সালে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হন। এতে তার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে যায়। ফলে তার জীবন বন্দি হয়ে পড়ে হুইলচেয়ারে। ওই রোগ ধরা পড়ার পর চিকিৎসকরা তাকে সময় দিয়েছিলেন মাত্র দু’বছর। বলেছিলেন, এ রোগের ফলে মহান এই বিজ্ঞানী বেঁচে থাকবেন মাত্র দু’বছর। কিন্তু সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছেন স্টিফেন হকিং। তিনি চিকিৎসকদের সেই পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছেন। কম্পিউটারইজড একটি বিশেষ হুইল চেয়ারে বসেই কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের এতগুলো বছর। শুধু তা-ই নয়। তিনি এই শরীর নিয়ে মহাকাশ অভিযানেও গিয়েছেন। পৃথিবীকে দিয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানের বিস্ময়কর সব তত্ত্ব। আর তাই মহান বিজ্ঞানী স্যার আলবার্ট আইনস্টাইনের পর তিনিই হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে সেরা বিজ্ঞানীদের অন্যতম। তার লেখা ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বেস্ট সেলার হয়েছে। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য থিওরি অব ইভরিথিং’।