প্রথম পাতা

সৌভাগ্য যে বেঁচে আছি

মানবজমিন ডেস্ক

১৩ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

অকস্মাৎ ভয়ঙ্করভাবে দুলে উঠলো বিমানটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন দিকে বিকট শব্দ। নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে ছিলেন নেপালি বসন্ত বোহরা। তিনি বলেছেন, আমি বিমানের জানালার কাছেই বসে ছিলাম। দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার পর আমি জানালা ভেঙে ফেলতে সক্ষম হই। বাইরে বেরিয়ে আসার পর আমার কোনো চেতনা ছিল না। কেউ একজন আমাকে নিয়ে যান হাসপাতালে। এভাবেই জীবন ফিরে পেয়েছি আমি। বসন্ত বোহরা নেপালের রাশ্বিতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের একজন কর্মচারী। তিনি ঢাকা এসেছিলেন প্রশিক্ষণ নিতে। বসন্ত বলেছেন, ওই বিমানে তাদের কোম্পানির ১৬ জন নেপালি ছিলেন। তিনি বলেন, আমার মাথায় ও পায়ে আঘাত লেগেছে। আমার সৌভাগ্য যে, আমি বেঁচে আছি।
‘নামার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি কাঁপছিলো’
নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ বাংলাদেশি এক যাত্রী বলেছেন, বিমানটি রানওয়েতে নামতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি কাঁপছিলো। তারপরই হঠাৎ তাতে আগুন ধরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশি ছাত্র আশীষ কুমার সরকার বলেছেন, তিনি বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন বাংলাদেশে ফেরার জন্য। ইউএস বাংলার এই বিমানে করেই তার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল।
‘আমার চোখের সামনেই সবকিছু হলো। বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে আমি অপেক্ষা করছিলাম। এসময় এই দুর্ঘটনা ঘটে’ বলেন তিনি।
মি. সরকার বলেন, ‘এসময় আমি মোবাইলফোন দিয়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ছবি তুলছিলাম। আমি  দেখলাম ল্যান্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটি কাঁপছিলো। মনে হচ্ছিলো যে, ওটা মনে হয় ঠিক মতো ল্যান্ড করতে পারছিলো না। তারপর দেখলাম  যে হঠাৎ করে বিমানে আগুন ধরে গেছে।’
মি. সরকার জানান, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এসব ঘটলো। কিন্তু শুরুতে কেউই যেন বুঝতে পারছিলো না যে আসলে কি হয়েছে। তিনি আরো বলেন,  সেসময় যেসব বিমান অবতরণ করার জন্য রানওয়ের কাছাকাছি চলে এসেছিলো এরকম কয়েকটি বিমানকে তিনি অবতরণ করতে দেখেছেন।
কিন্তু এর কয়েক মিনিট পর থেকে তিনি আর কোনো বিমানকে উড়তে বা নামতে দেখেন নি। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই তিনি কোনো উদ্ধার তৎপরতা  দেখতে পান নি। মি. সরকার নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান যে, ইউএস-বাংলার  কোনো কর্মকর্তা তখনও পর্যন্ত অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাদের কাউন্টারও বন্ধ ছিল বলে তিনি জানান।
সূত্র: বিবিসি
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status