খেলা

ট্রেজারার পদ বিলুপ্ত হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে!

নারী সদস্য রাখা বাধ্যতামূলক

স্পোর্টস রিপোর্টার

১৩ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

তিন তিনবার শিরোনাম সংযোজন বিয়োজন করে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নতুন আইন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮’ নামে অনুমোদন দিতে যাচ্ছে  সরকার। জাতীয় সংসদ থেকে পাস হয়ে আসলেই ৪৪ বছর পর নতুন আইন পাবে দেশের খেলাধুলার অন্যতম এ অভিভাবক সংস্থাটি। নতুন  চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে বিলুপ্ত হবে প্রায় সাড়ে তিন যুগের পুরনো আইনটি। নতুন আইনে রাখা হয়নি ট্রেজারার পদ। এক সময় পরিষদের অর্থ বিষয়ক কার্যক্রমের প্রধান দায়িত্ব ছিল ট্রেজারের। কিন্তু ১৯৯৮ সাল থেকে সরকার পরিচালক অর্থ হিসেবে একজন কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োগ দেয়ার কারণে ট্রেজারে কোনো কাজ নেই। পরিষদের অর্থ বিষয়ক সব কাজই করে থাকেন পরিচালক (অর্থ)। যে কারণে ট্রেজারার পদ বিলুপ্ত করেই প্রণয়ন করা হয়েছে নতুন আইন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটির কাঠামোতেও বড় ধরনের পরিবর্তনও আনা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ৪৮ ফেডারেশনের মধ্যে মাত্র ২০টি সুযোগ পাবে নির্বাহী কমিটিতে থাকার। তাও পর্যায়ক্রমে প্রতি বছর ৫টি করে। আইন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর প্রথম এক বছর নির্বাহী কমিটিতে থাকবে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, সাঁতার ও অ্যাথলেটিক্স। পরের বছর তাদের পরিবর্তে নির্বাহী কমিটিতে ঢুকবে শুটিং, কাবাডি, ভলিবল, দাবা ও ভারোত্তোলন। এভাবে নির্ধারিত ২০ ফেডারেশন বা সংস্থা পর্যায়ক্রমে ১ বছর করে নির্বাহী কমিটিতে থাকবে। নতুন আইনে নির্বাহী কমিটিতে সদস্য থাকবেন ফেডারেশনগুলোর সভাপতি। পুরনো আইনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কিংবা ফেডারেশন যাকে মনোনয়ন দিতো তিনিই নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত থাকতে পারতেন। এখন সভাপতি কোনো কারণে সভায় উপস্থিত না হতে পারলে তার পরিবর্তে অন্য কেউ থাকতে পারবেন না। এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকরা। যদিও তারা বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। অনুমোদন হয়ে আসার পরই তারা বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুলবেন।
১৯ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে থাকবেন- জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের (অর্থ মন্ত্রণালয়) সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) সচিব, কারিগরী ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) মহাপরিচালক, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ৫টি ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি এবং একজন নারীসহ ৩ জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ। আগে নির্বাহী কমিটিতে দুইজন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তবে নারী ক্রীড়াবিদ বাধ্যতামূলক ছিল না। নতুন আইনে এই কোটা বাড়িয়ে কমপক্ষে একজন নারী ক্রীড়াবিদ কমিটিতে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে প্রথমবারের মতো রাখা হয়েছে নির্বাহী কমিটিতে। ট্রেজারার পদ বিলুপ্ত হলেও এতে নাখোশ নন বর্তমান ট্রেজারার বাদল রায়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বর্তমান ট্রেজারার বাদল রায় পদটি বিলুপ্তি প্রসঙ্গে  বলেন, ‘এটা রেখে লাভ কী। কোনো কাজই তো নেই ট্রেজারের। বছরের একবার বাজেট উপস্থাপন ছাড়া সারা বছর তার কাজ কি। এদিকে মন্ত্রিপরিষদ প্রস্তাবিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৮ অনুমোদনের সময় প্রশ্ন উঠেছিল বিওএ কেন এ সংস্থাটির তফসিলভুক্ত নয় তা নিয়ে। মূলত বিওএ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত সংস্থা না হওয়ায় তারা তফসিলে এ সংস্থাকে রাখেনি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status