বাংলারজমিন
বন্দরে শ্যালককে অপহরণের পর হত্যা
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
বন্দরে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে শ্যালককে অপহরণ করে তুলে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে পাষণ্ড সৎ ভগ্নিপতি। এক সপ্তাহ পর গতকাল দুপুরে বাগবাড়ি এলাকায় ময়লার স্তূপ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম এলেম (৮)। সে নবীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং নবীগঞ্জ কবরস্থান সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা নবীগঞ্জ এলাকার আব্দুল রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে রুমা আক্তারের সঙ্গে একরামপুর এলাকার মৃত বারেক কসাইয়ের ছেলে বিল্লাল হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীর সংসারে অভাব-অনটন লেগে থাকতো। সৎ মায়ের সংসারে ফিরে না আসতে ধারদেনা করে বিদেশে চলে যায় রুমা আক্তার। বিদেশে চাকরির বেতনের টাকাপয়সা পিতার কাছে পাঠাতেন রুমা। মেয়ের পাঠানো টাকা থেকে শ্বশুর জামাতাকে কোনো টাকা দিতেন না। এ নিয়ে জামাতা ও শ্বশুরের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে জামাতা বিল্লাল হোসেন গত ৬ই মার্চ বিকালে শিশু সৎ শ্যালক এলেম (৯)কে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের এক সপ্তাহ পর গতকাল সোমবার দুপুরে বাগবাড়ি এলাকায় মদনগঞ্জ-মদনপুর (পুরনো রেললাইন) সড়কের পাশে সিটি করপোরেশন ময়লার স্তূপে কয়েকজন টোকাই কাগজ কুড়াতে গিয়ে বস্তার ভেতরে শিশুর লাশ দেখতে পায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ময়লার সূ্তপে শিশুর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে শিশু এলেমের পিতা এসে ছেলের লাশ সনাক্ত করে।
বন্দর থানার ইস্পেক্টর (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, ঘাতক ভগ্নিপতি বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জেলে। তার বিরুদ্ধে প্রথমে অপহরণ মামলা হয়। এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
বন্দর থানার ইস্পেক্টর (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, ঘাতক ভগ্নিপতি বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে জেলে। তার বিরুদ্ধে প্রথমে অপহরণ মামলা হয়। এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।