খেলা
ফারুকের মন্তব্যে নীরব বিসিবি
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
দলের বাজে পারফরম্যান্সে দারুণ ক্ষেপে উঠেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। হঠাৎ করেই প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচকদের স্বাধীনতা ও তাদের যোগ্যতা নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচকদের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রথমেই ঠিক করতে হবে- কাকে নির্বাচক বানাবেন। তার যোগ্যতা কতটুকু আছে। আর সে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি না। বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা। বোর্ড নির্বাচকদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বাধীনতা দিয়ে দেখতে পারে। যদি এর মধ্যে ভালো ফল না আসে, তাহলে তো সেই নির্বাচক কমিটি ভেঙে দেয়ার সব ক্ষমতা বিসিবির আছে। আমি তো মনে করি এখনকার নির্বাচকদের ক্ষমতা খুবই কম। তারা স্বাধীনভাবে তো কাজ করতেই পারে না, তাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা হতে পারে।’ তবে ফারুক আহমেদের এমন বোমা ফাটানো মন্তব্যে বেশ নীরব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ বিষয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে তিনি বর্তমানে ছুটিতে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। তবে গতকাল সেখান থেকে এক ক্ষুদে বার্তায় মিনহাজুল আবেদিন বলেন, ‘আমি দেশে ফিরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো।’
এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও নীরব। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমি ফারুক আহমেদের মন্তব্য শুনিনি। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। আগে তার কথাগুলো শুনি তারপর মন্তব্য করতে পারবো।’ শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফিতে দলের সঙ্গে আছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছেন অনেক সিনিয়র পরিচালক। এর মধ্যে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানও রয়েছেন। যে কারণে বিসিবির কারো অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে দুই দফা প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক আহমেদ। বলতে গেলে দুই মেয়াদেই তিনি দারুণ সফল। কিন্তু হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেন তিনি। গুঞ্জন রয়েছে নির্বাচক প্যানেলে প্রধান কোচের অন্তর্ভুক্তির কারণেই তিনি পদত্যাগ করেন। তার সঙ্গেই সহযোগী নির্বাচক হিসেবে ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিসিবির বর্তমান নির্বাচক প্যানেলে এ দুজন ছাড়াও আছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ও আকরাম খান। বিসিবির নয়া নির্বাচক প্যানেল পদ্ধতি নিয়েও ছিল ফারুক আহমেদের কড়া আপত্তি। আর পুরনো নির্বাচক পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আবার আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া উচিত। আগে যেমন নির্বাচক কমিটি দিয়ে কাজ হতো, ঠিক তেমনই। কমিটি থাকলে জবাবদিহির ব্যাপার থাকে। এখন কোনো নির্বাচককে যদি দল নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন, সে কিন্তু বলতে পারবে না।’
ফারুক আহমেদ বিসিবির নয়া নির্বাচক প্যানেল নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল সেটিও পুনরায় সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে তার পদত্যাগের কারণও আরো একবার জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘আমি জানতাম এমন কিছুই হবে। সে কারণে দেড় বছর আগে প্রধান নির্বাচকের পদ ছেড়ে দিয়েছিলাম। দল যখন ভালো করে, তখন অনেক কিছুই চোখে পড়ে না। দল যদি খারাপ করে, তখন সমস্যাগুলো সামনে চলে আসে। যদি নির্বাচক অনেক থাকে, তাহলে সমস্যা হবেই। তখন একজন বলবে, অমুককে নিলে ভালো হতো, আরেকজন বলবে, তাকে নাও। আসলে এমন পরিস্থিতিতে কে সিদ্ধান্তটা নিল, সেটা বোঝা যায় না। এখন আমরা দেখি, ম্যাচ শুরুর আগের দিন দলে খেলোয়াড় ঢোকানো হচ্ছে। এটা নির্বাচকরা কতটুকু জানেন, আমরা জানি না। পত্রিকায় পড়েছি, আসলে তারা এসবের কিছুই নাকি জানেন না।
এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসও নীরব। গতকাল তিনি বলেন, ‘আমি ফারুক আহমেদের মন্তব্য শুনিনি। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। আগে তার কথাগুলো শুনি তারপর মন্তব্য করতে পারবো।’ শ্রীলঙ্কার নিদাহাস ট্রফিতে দলের সঙ্গে আছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সঙ্গে শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছেন অনেক সিনিয়র পরিচালক। এর মধ্যে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খানও রয়েছেন। যে কারণে বিসিবির কারো অফিসিয়াল বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে দুই দফা প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক আহমেদ। বলতে গেলে দুই মেয়াদেই তিনি দারুণ সফল। কিন্তু হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেন তিনি। গুঞ্জন রয়েছে নির্বাচক প্যানেলে প্রধান কোচের অন্তর্ভুক্তির কারণেই তিনি পদত্যাগ করেন। তার সঙ্গেই সহযোগী নির্বাচক হিসেবে ছিলেন মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিসিবির বর্তমান নির্বাচক প্যানেলে এ দুজন ছাড়াও আছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ও আকরাম খান। বিসিবির নয়া নির্বাচক প্যানেল পদ্ধতি নিয়েও ছিল ফারুক আহমেদের কড়া আপত্তি। আর পুরনো নির্বাচক পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আবার আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া উচিত। আগে যেমন নির্বাচক কমিটি দিয়ে কাজ হতো, ঠিক তেমনই। কমিটি থাকলে জবাবদিহির ব্যাপার থাকে। এখন কোনো নির্বাচককে যদি দল নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন, সে কিন্তু বলতে পারবে না।’
ফারুক আহমেদ বিসিবির নয়া নির্বাচক প্যানেল নিয়ে যে অসন্তোষ ছিল সেটিও পুনরায় সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে তার পদত্যাগের কারণও আরো একবার জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘আমি জানতাম এমন কিছুই হবে। সে কারণে দেড় বছর আগে প্রধান নির্বাচকের পদ ছেড়ে দিয়েছিলাম। দল যখন ভালো করে, তখন অনেক কিছুই চোখে পড়ে না। দল যদি খারাপ করে, তখন সমস্যাগুলো সামনে চলে আসে। যদি নির্বাচক অনেক থাকে, তাহলে সমস্যা হবেই। তখন একজন বলবে, অমুককে নিলে ভালো হতো, আরেকজন বলবে, তাকে নাও। আসলে এমন পরিস্থিতিতে কে সিদ্ধান্তটা নিল, সেটা বোঝা যায় না। এখন আমরা দেখি, ম্যাচ শুরুর আগের দিন দলে খেলোয়াড় ঢোকানো হচ্ছে। এটা নির্বাচকরা কতটুকু জানেন, আমরা জানি না। পত্রিকায় পড়েছি, আসলে তারা এসবের কিছুই নাকি জানেন না।