খেলা
‘এ জয় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরিসংখ্যানটা খুব উজ্জ্বল নয়। তবে সর্বশেষ জয়ে সংক্ষিপ্ত ঘরানার ক্রিকেটে টাইগাররা এক প্রতিবন্ধকতা ভাঙতে পারলো বলে মনে করেন বোদ্ধারা। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মহিলা ক্রিকেটের কর্মকর্তা ও কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘ধারাবাহিকতা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ এটি ঠিক। কিন্তু এ জয়ের পর একটা বিষয় কিন্তু স্পষ্ট হয়েছে। সেটি হলো টি-টোয়েন্টিতে আমাদের একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল। একটি বাধা ছিল। শনিবার এমন জয়ে আমার মনে হয়েছে সেই বাধা বা প্রতিবন্ধকতাকে ভাঙতে পেরেছে দল। যেটি এ মুহূর্তে খুব প্রয়োজন ছিল। আমাদের যে এমন খেলার ক্ষমতা আছে, বা আমরা যে এভাবে খেলতে পারি সেটি আগে কখনো দেখা যায়নি। এখন নিজেদের চিনতে পেরেছে যে তারাও এভাবে খেলতে পারে। এ জয় ওদের নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। সেই সঙ্গে এ জয়ে যে বিশ্বাসটা অর্জন হয়েছে তা দলে বয়ে আনতে পারে বড় পরিবর্তন।’
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার, সৌম্য সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় দলের সব ব্যাটসম্যানই কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের শিষ্য। জাতীয় দলের সব ব্যাটসম্যানই নিজেদের সমস্যা নিয়ে তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে দীক্ষা নেন। সেই কোচই শিষ্যদের এমন ব্যাটিংয়ে দারুণ অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘লিটনের খেলা দেখে আমি অবাক হইনি। কারণ ও এভাবে খেলতে পারে। কিন্তু মুশফিক যেভাবে খেলেছে সেটি অসাধারণ। আমার মনে হয় এ জয়ের মধ্য দিয়ে ওরা ধারণা করতে পারবে যে ওরাও টি-টোয়েন্টি খেলার যে চাহিদা সেটি মেটাতে পারবে। আমি বলবো, এখন ওরা নিজেদের উপর বিশ্বাস করা শুরু করবে। এটি আমি মনে করি দলের মধ্যে বয়ে আনতে পারে বড় পরিবর্তনও।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের আগ্রাসী ব্যাটিং থেকে বোলাররাও শিক্ষা নিতে পারে বলে মনে করেন নাজমুল আবেদিন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে সেখান থেকে বোলাররাও শিক্ষা নিতে পারে। ওরাও যেন বিশ্বাস করে ব্যাটসম্যানরা পারলে আমরা পারবো না কেন!’
৭৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের ব্যাটিং খুব খারাপ না হলেও বোলিংটা এখনো চিন্তার কারণ। ফাহিম বলেন, ‘আসলে টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের খুব বেশি কিছু করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু তাই বলে কি কেউ সফল হচ্ছে না? যারা সফল হচ্ছে তারা ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা দ্রুত ধরতে পারে। কোন জায়গাতে বল করলে ব্যাটসম্যান কাবু হতে পারে সেটি জানে। আরেকটি বিষয় হলো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একই ধরনের বোলিং করলে হবে না। এখানে লাইন, লেন্থ ঠিক রাখার পাশাপাশি ভেরিয়েশন থাকতে হবে। কারণ একজন ব্যাটসম্যান যদি বুঝে ফেলে যে কি ধরনের বল হবে সে তো মারবেই। তাই ব্যাটস্যানকে বুঝতে দেয়া যাবে না পরের বলটি কেমন হবে। এসব বিষয় খেয়াল রাখলে আমাদের বোলাররাও পারবে। কারণ তাদের সামর্থ্য আছে।’ এমন জয়ের পর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার বিষয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘আসলে ধারাবাহিকতা মানে এমন নয় যে প্রতি ম্যাচেই জিততে হবে। এর মানে হচ্ছে আমাদের নিয়মিত ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলতে পারলে জয়ের সুযোগ বাড়বে। আর আমাদের চেয়ে যদি প্রতিপক্ষ অনেক বেশি ভালো খেলে, তবেই জিতবে।
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার, সৌম্য সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় দলের সব ব্যাটসম্যানই কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের শিষ্য। জাতীয় দলের সব ব্যাটসম্যানই নিজেদের সমস্যা নিয়ে তার কাছে ব্যক্তিগতভাবে দীক্ষা নেন। সেই কোচই শিষ্যদের এমন ব্যাটিংয়ে দারুণ অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘লিটনের খেলা দেখে আমি অবাক হইনি। কারণ ও এভাবে খেলতে পারে। কিন্তু মুশফিক যেভাবে খেলেছে সেটি অসাধারণ। আমার মনে হয় এ জয়ের মধ্য দিয়ে ওরা ধারণা করতে পারবে যে ওরাও টি-টোয়েন্টি খেলার যে চাহিদা সেটি মেটাতে পারবে। আমি বলবো, এখন ওরা নিজেদের উপর বিশ্বাস করা শুরু করবে। এটি আমি মনে করি দলের মধ্যে বয়ে আনতে পারে বড় পরিবর্তনও।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের আগ্রাসী ব্যাটিং থেকে বোলাররাও শিক্ষা নিতে পারে বলে মনে করেন নাজমুল আবেদিন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে সেখান থেকে বোলাররাও শিক্ষা নিতে পারে। ওরাও যেন বিশ্বাস করে ব্যাটসম্যানরা পারলে আমরা পারবো না কেন!’
৭৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশের ব্যাটিং খুব খারাপ না হলেও বোলিংটা এখনো চিন্তার কারণ। ফাহিম বলেন, ‘আসলে টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের খুব বেশি কিছু করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু তাই বলে কি কেউ সফল হচ্ছে না? যারা সফল হচ্ছে তারা ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা দ্রুত ধরতে পারে। কোন জায়গাতে বল করলে ব্যাটসম্যান কাবু হতে পারে সেটি জানে। আরেকটি বিষয় হলো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একই ধরনের বোলিং করলে হবে না। এখানে লাইন, লেন্থ ঠিক রাখার পাশাপাশি ভেরিয়েশন থাকতে হবে। কারণ একজন ব্যাটসম্যান যদি বুঝে ফেলে যে কি ধরনের বল হবে সে তো মারবেই। তাই ব্যাটস্যানকে বুঝতে দেয়া যাবে না পরের বলটি কেমন হবে। এসব বিষয় খেয়াল রাখলে আমাদের বোলাররাও পারবে। কারণ তাদের সামর্থ্য আছে।’ এমন জয়ের পর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার বিষয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘আসলে ধারাবাহিকতা মানে এমন নয় যে প্রতি ম্যাচেই জিততে হবে। এর মানে হচ্ছে আমাদের নিয়মিত ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলতে পারলে জয়ের সুযোগ বাড়বে। আর আমাদের চেয়ে যদি প্রতিপক্ষ অনেক বেশি ভালো খেলে, তবেই জিতবে।