খেলা

এমন রেকর্ড নেই এশিয়ার কোনো দলেরই

স্পোর্টস ডেস্ক

১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

ইনিংসের ২০তম ওভারের চতুর্থ বল কব্জির মোচড়ে ঘুরিয়েই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করলেন মুশফিকুর রহীম। লঙ্কান পেসার থিসারা পেরেরার ডেলিভারি খেলেই গর্জে ওঠেন টাইগার ব্যাটসম্যান মুশফিক। এ গর্জন যেন থামতেই চাইলো না। জয়টা যে এলো অনেক প্রতীক্ষার পর। ইতিহাস গড়ার আনন্দেও এমন উল্লাস করতেই পারেন মুশফিক। কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৫ রানের টার্গেটে জয় দেখে বাংলাদেশ। যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তথা এশিয়ার যে কোনো দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। চলতি নিদাহাস ট্রফিতে একটি করে জয় পেলো আসরের তিন দলই। আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-শ্রীলঙ্কা।
টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও। ঢাকায় সর্বশেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৩ রানের পুঁজি নিয়ে হার দেখেছিল টাইগাররা। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আর এশিয়ার কোনো দলের সর্বোচ্চ। এতে বাংলাদেশ ভাঙলো ভারতের রেকর্ড। ২০০৯-এ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০৭ রান তাড়া করে জয় দেখে ভারত। ২০০৭-এ প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৫ রান তাড়া করে জয় দেখেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া জয়ে মুশফিকুর রহীম খেলেন ৩৫ বলে হার না মানা ৭২ রানের ইনিংস। মুশফিকুর রহীমের স্ট্রাইক গড় ২০৫.৭১। টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে ৫০ রান পাওয়া ইনিংসে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক গড়। এমন তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০০৭-এ জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডজের বিপক্ষে ১৬৫ রান তাড়া করে পাওয়া ইনিংসে আশরাফুলের স্ট্রাইক গড় ছিল ২২৫.৯২। রান তাড়া করে জয়ে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও মুশফিকুর রহীমের। আগের রেকর্ডে ২০১২ তে দ্য হেগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৪৫ রানের টার্গেটে ম্যাচজয়ী হার না মানা ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল।
টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করে জয়
দল স্কোর টার্গেট প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
অস্ট্রেলিয়া ২৪৫/৫ ২৪৪ নিউজিল্যান্ড অকল্যান্ড ২০১৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩৬/৬ ২৩২ দক্ষিণ আফ্রিকা জোহানেসবার্গ ২০১৫
ইংল্যান্ড ২৩০/৮ ২৩০ দক্ষিণ আফ্রিকা মুম্বই ২০১৬
বাংলাদেশ ২১৫/৫ ২১৫ শ্রীলঙ্কা কলম্বো ২০১৮
ভারত ২১১/৪ ২০৭ শ্রীলঙ্কা মোহালী ২০০৯

ছক্কার রেকর্ড বাংলাদেশের
কলম্বোয় ১২টি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কার রেকর্ড এটি। ইনিংসে বাংলাদেশের আটটি করে ছক্কার ঘটনা রয়েছে পৃথক তিন ম্যাচে। এমন সর্বশেষ ঘটনাটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৩তে। ওয়ানডেতেও ইনিংসে ১২ ছক্কার নজির নেই বাংলাদেশের। ৫০ ওভারের খেলায় সর্বাধিক ১০ ছক্কার নজির রয়েছে বাংলাদেশের। কলম্বোয় পাঁচটি ছক্কা হাঁকান লিটন কুমার দাস। টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের পাঁচ ছক্কার নজির রয়েছে কেবল তামিম ইকবাল, জিয়াউর রহমান ও নাজিমুদ্দিনের। শনিবার মুশফিক ৪টি এবং তামিম, মাহমুদুল্লাহ ও সৌম্য সরকার হাঁকান একটি করে ছক্কা।
২৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মুশফিক। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড এটি। এমন শীর্ষ রেকর্ডে ২০০৭-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংসে ২০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
১ শ্রীলঙ্কার মাটিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দলীয় ২১৫’র চেয়ে বেশি রানের ঘটনা দেখা গেছে একবারই মাত্র। ২০১৬তে পাল্লেকেলে মাঠে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ পৌঁছে ২৬৩ রানে। আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি রচিত হয়েছিল চলতি আসরেরই উদ্বোধনী ম্যাচে। সেদিন এখানে ভারতের বিপক্ষে ১৭৫ রান তাড়া করে জয় দেখে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
৫০ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি শ্রীলঙ্কার ৫০তম হার। সংক্ষিপ্ত ঘরানার ক্রিকেটে ৫০ হার দেখা প্রথম দল শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টিতে সমান ৪৯টি হার রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের। টাইগারদের বিপক্ষে ১০ সাক্ষাতে এটি শ্রীলঙ্কার তৃতীয় হার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status