বাংলারজমিন
‘লাইলীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ’
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুরে ‘কথিত স্বামী’ শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে লাইলী বেগম নামে এক গৃহবধূকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অর্থের প্রলোভনে লাইলী বেগমকে তার প্রথম পক্ষের স্বামী থাকা সত্ত্বেও বিয়ে এবং পরবর্তীতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নির্যাতন চালিয়ে মুখে বিষ দিয়ে হত্যা করেছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন লাইলী বেগমের প্রথম পক্ষের স্বামীর আত্মীয়-স্বজনরা। এ সময় লাইলী বেগমের ছেলে রাহিন (১৪) ও মেয়ে লিলি (৯) উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে লাইলী বেগমের ভাবি তসলিমা বেগম (প্রথম পক্ষের ভাসুরের স্ত্রী) বলেন, লাইলী বেগম শরিফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী তা কেউ জানতেন না। কারণ প্রথম স্বামী মজিবুর রহমানকে লাইলী বেগম কিংবা মজিবুর রহমান কেউ কাউকে তালাক দেয়নি। লাইলী বেগম শাড়ি কাপড়ের ব্যবসার মাধ্যমে বেশ কিছু অর্থ করলে শরিফুল ইসলামের কুনজর পড়ে। একপর্যায়ে ফুসলিয়ে তালাক ছাড়াই লাইলী বেগমের বাড়িতে থাকা শুরু করে। এ সময় দীর্ঘ সাত বছর প্রথম স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে বসবাস করে। এরমধ্যে লাইলীর টাকা-পয়সা দিয়ে সে কোর্ট এলাকায় কাপড়ের দোকান দেয়। এ ছাড়া অবৈধভাবে মাদক চোরাকারবারের মাধ্যমে শরিফুল বিপুল অর্থ অর্জন করেছে। এরপরও সে লাইলীর সম্পূর্ণ টাকা লোপাটের জন্য বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। একপর্যায়ে মিথ্যা অপবাদে নির্যাতন চালিয়ে মুখে বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে ৩/৪দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে লাইলী বেগম। এ ঘটনায় রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দিলেও মেডিকেল সার্টিফিকেট না থাকায় ময়নাতদন্ত করেনি। বরং মামলাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে থানা মামলা নিতে টালবাহানা করছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, লাইলী বেগমনের মামি শাশুড়ি রাশেদা বেগম, ভাবি রেহেনা বেগম ও ননদ আমিনা খাতুন। তবে, লাইলী বেগমের দ্বিতীয় স্বামী (কথিত) শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে বাড়িতে এসে লাইলীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিষয়টি জানেন। এ সময় সে বলে গেছে, আমার কোনো দোষ নেই। তার মৃত্যুর পর আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই- এই মর্মে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে এভিডেভিট করা হয়েছে। এছাড়া লাইলী বেগম পূর্বের স্বামীর সঙ্গে তালাকের কাগজ আছে বলেও দাবি করেন।