বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে সংবাদ সম্মেলন
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার, ৮:১০ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ওই ভিকটিমের পরিবারের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, তার ছোট মেয়ে শহরতলীর একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। গত ২রা মার্চ বিকেলে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পাশের খোলা বাথরুমে যায়। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা পশ্চিম রামনগর এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া বাথরুমে ঢুকে তার মেয়েকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তখন তার মেয়ের শোর চিৎকার করে প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় দৌড়ে ঘরের দিকে আসে। এ সময় মামুন মিয়াও তার মেয়ের সাথে দৌঁড়ে গিয়ে ঘরের ঢুকে গেলে তার বড় মেয়ে ও স্ত্রী কৌশলে মামুন মিয়াকে ঘরে আটকে রেখে তাকে বাড়িতে আসার জন্য ফোন করে। এর মধ্যে মামুনের ভাই লিটন, ইমন, শিপন, রুকন, জালাল, তরমুজ মিয়া মিলে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে মামুনকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, বড় মেয়ের ফোন পেয়ে তিনি বাড়িতে আসার পথে মামুনের সহযোগীরা তাকে রাস্তায় আটকিয়ে মারধর করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন এ বিষয়টি সালিশ বিচার করে দেবেন এমন আশ্বাসে তিনি অপেক্ষমাণ থাকাবস্থায় রাতেই হামলাকারীরা তাদের ছেলেকে সুঁচ ঢুকিয়ে তার উপর উল্টো সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। বর্তমানে ওই মামলায় তিনি আদালত থেকে জামিনে আছেন। গত ৪ঠা মার্চ তার স্ত্রী বাদী হয়ে মেয়ের ধর্ষণের চেষ্টার বিচার চেয়ে আদালতে একটি মামলা করেছেন। তিনি তার উপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তির দাবি জানিয়ে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণে চেষ্টা ও তাকে মারধরের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। ওসি (তদন্ত) জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা এখনো কোনো মামলা পাইনি। যদি আদালতে মামলা করে থাকে তাহলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।