প্রথম পাতা
কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি
উদ্ধারকারী সেই পুলিশ সদস্যের খোঁজ মিলেছে
স্টাফ রিপোর্টার
১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে আসা কর্মীদের হাতে হেনস্থার শিকার কলেজছাত্রীকে ‘উদ্ধারকারী’ সেই পুলিশ সদস্যের খোঁজ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি’র ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে খুঁজে বের করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবার করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে কয়েক দফা ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার ইহসানুল ফেরদৌস মানবজমিনকে বলেন, সিসি টিভি’র ফুটেজ পর্যালোচনা করে আমরা সেই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করেছি। তার মুখে লাল মেহেদি দেয়া দাড়ি থাকায় খুব সহজে আমরা তাকে খোঁজে বের করতে পেরেছি। তার সঙ্গে আমরা কথাও বলেছি। যেহেতু তিনি সেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাসে তুলে দিয়েছিলেন সেজন্য তার কাছ থেকে তথ্য নেয়াটা জরুরি ছিল।
৭ই মার্চ আওয়ামী লীগের জনসভার দিনে বাংলামোটর এলাকায় সমাবেশে যাওয়া কর্মীদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে ওই কলেজছাত্রীর স্ট্যাটাস দেয়ার পর তুমুল সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে রমনা থানা পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিট। গোয়েন্দা সূত্রে বলছে, প্রাথমিকভাবে ঘটনার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন নাম পরিচয় বের করে তাদের আটক করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া ফুটেজে ওইদিন কয়েকজন তরুণ ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেও দেখা গেছে। তবে ওই সময়টা সড়কে প্রচণ্ড যানজট ও জনজট ছিল। তাই পুরোপুরি বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করতে সময় লাগছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, আমরা প্রকৃত আসামিদের শাস্তি চাই। কারণ এ ধরনের একটা ঘটনার পর যদি অপরাধী ছাড় পায় তবে কোনো নারীই নিরাপদে চলতে পারবে না। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া স্ট্যাটাসের পর থেকে আমার মেয়ে অনেকটা চাপের মধ্যে আছে। আমাদের পরিবারের সদস্যরা চাপে রয়েছে। তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। এই মেয়ে ছাড়াও আমার আরো দুই ছেলে রয়েছে। এ রকম একটি ঘটনার পর প্রশাসনের পাশাপাশি সবাই তাদের সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মামলা করার পর থেকে আমরা ছায়া তদন্ত করছি। সিসি টিভি’র ফুটেজ বিশ্লেষণ ও ঘটনাস্থলের আশপাশের ব্যবসায়ী ও সেই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। ভালো তদন্তের স্বার্থেই আমরা আরো কাজ করতে চাই।
৭ই মার্চ আওয়ামী লীগের জনসভার দিনে বাংলামোটর এলাকায় সমাবেশে যাওয়া কর্মীদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে ওই কলেজছাত্রীর স্ট্যাটাস দেয়ার পর তুমুল সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে রমনা থানা পুলিশের পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিট। গোয়েন্দা সূত্রে বলছে, প্রাথমিকভাবে ঘটনার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে। ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন নাম পরিচয় বের করে তাদের আটক করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া ফুটেজে ওইদিন কয়েকজন তরুণ ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেও দেখা গেছে। তবে ওই সময়টা সড়কে প্রচণ্ড যানজট ও জনজট ছিল। তাই পুরোপুরি বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করতে সময় লাগছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা গতকাল মানবজমিনকে বলেন, আমরা প্রকৃত আসামিদের শাস্তি চাই। কারণ এ ধরনের একটা ঘটনার পর যদি অপরাধী ছাড় পায় তবে কোনো নারীই নিরাপদে চলতে পারবে না। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া স্ট্যাটাসের পর থেকে আমার মেয়ে অনেকটা চাপের মধ্যে আছে। আমাদের পরিবারের সদস্যরা চাপে রয়েছে। তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। এই মেয়ে ছাড়াও আমার আরো দুই ছেলে রয়েছে। এ রকম একটি ঘটনার পর প্রশাসনের পাশাপাশি সবাই তাদের সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় মামলা করার পর থেকে আমরা ছায়া তদন্ত করছি। সিসি টিভি’র ফুটেজ বিশ্লেষণ ও ঘটনাস্থলের আশপাশের ব্যবসায়ী ও সেই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। ভালো তদন্তের স্বার্থেই আমরা আরো কাজ করতে চাই।