খেলা
প্যারিসে সুখে নেই নেইমার!
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
বার্সেলোনায় ফিরতে চান নেইমার- এমন দাবি স্প্যানিশ দৈনিক মুন্দো দেপোর্তিভোর। তবে স্পেনের অপর সংবাদমাধ্যম এএস-এর খবর নেইমার যোগ দিচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ব্রাজি িলয়ান এ ফরোয়ার্ডের জন্য পিএসজিকে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দিতে রাজি রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। নেইমারের সঙ্গে বার্সেলোনার সম্পর্কের ইতি ঘটেছে গত বছর আগস্টে। ২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফারে বার্সেলোনা থেকে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) পাড়ি দেন নেইমার। তবে মুন্দো দেপোর্তিভোর দাবি- নিজের ভুল বুঝতে পারছেন এ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ পড়লেও বার্সেলোনায় তার বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কে ভাটা পড়েনি কখনো। চোটের কারণে আপাতত মাঠের বাইরে রয়েছেন নেইমার। তার লক্ষ্য এখন বিশ্বকাপ। হয়তো এই অবসরে বুঝতে পেরেছেন, বার্সেলোনা থেকে চলে আসাটা তার ভুল ছিল। মুন্দো দেপোর্তিভোর ধারণা, বার্সার খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা শুধুমাত্র বন্ধুত্বের খাতিরে নয়, যাতে বিপদে বার্সেলোনায় ফিরতে পারেন সে উদ্দেশ্যেও। মুন্দো দেপোর্তিভোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেইমারের কাছে এখন মনে হচ্ছে মেসির (লিওনেল) থেকে দূরে চলে আসা তার জন্য ভালো নয়, বরং খারাপ হয়েছে। পিএসজির অসাধারণ প্রকল্পের কথা শুনে মোহে পড়েছিলেন। কিন্তু এখন বুঝতে পারছেন, এটা কখনই সম্ভব নয়। আর ফরাসি লীগ ওয়ানের খেলার মানটাও উপভোগ করতে পারছেন না নেইমার। অনেকের কাছেই এ নিয়ে পরামর্শ চেয়েছেন নেইমার, তার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কি না। সবাই একই উত্তর দিয়েছেন, হ্যাঁ, দল পরিবর্তনের চিন্তাটা ভুল ছিল। এখন পিএসজি থেকে বের হওয়াই তার লক্ষ্য। তবে সেটা এখনই নয়, সেটা হতে পারে ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে। পিএসজিতে তার অন্তত দুই মৌসুম থাকতে হচ্ছে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নেইমারের পিতা ইতিমধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আর গতকাল স্প্যানিশ লা লিগায় এবারের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমন প্রশ্ন ওঠে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদানের সামনেও। ফরাসি কোচ জিদান বলেন, নেইমার বিশ্বের যে কোনো দলে খেলতে পারে। কারণ সে খুবই ভালো একজন ফুটবলার। তবে যে আমার নিজ দলের খেলোয়াড় নয়, তাকে নিয়ে কথা বলতে চাই না আমি। ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর কথা কী বলবো, তারা (পিএসজি) তাকে ২২০ মিলিয়নে কিনেছে। আর তারা (রিয়াল মাদ্রিদ) যখন আমাকে কিনেছিল তখন তাদের খরচ হয় ৭২ মিলিয়ন ইউরো। এটা আমার কাছে পাগলামি মনে হয়, মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে একজন খেলোয়াড়ের দাম ২২০ মিলিয়ন ইউরোতে উঠে পড়লো। আগামী ১০ বছরে কোনো খেলোয়াড়ের মূল্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে যেতেই পারে। তবে আরো আগেই তা ঘটবে কিনা জানি না।