খেলা
গাজীর কক্ষপথে থাকা জয়
স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
আবাহনী এরপর দোলেশ্বরকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে শেষ ছয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি দলটি। অন্যদিকে মাত্র ১৩৭ রান করে আগের ম্যাচে মোহামেডানকে হারানো গাজী গ্রুপ অব্যাহত রেখেছে জয়ের ধারা। গাজীকে সুপার লীগের কক্ষপথে রাখা জয় এসেছে জহুরুল ইসলাম অমির সেঞ্চুরি ও আসিফ আহমেদ রাতুলের ক্যারিয়ার সেরা ৯১ রান। টসে জিতে প্রাইম ব্যাংককে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল গাজী। ব্যাট হাতে দলের দেশি ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতিতে আউট হলে জ্বলে উঠেছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ভারতীয় তারকা ইউসুফ পাঠান। তার ৭২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানের বড় লক্ষ্যই ছুড়ে দেয়। কিন্তু জবাব দিতে পরে ব্যাট করার অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মান রেখেছেন গাজীর ব্যাটসম্যানরা। তুলে নিয়েছে ৭ উইকেটের বড় জয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন জহুরুল ইসলাম। ৯ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে গাজী ৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে তালিকার ৯ম স্থানে। একই সমান পয়েন্টে আছে আরো ৪ দলের। তাই শেষ ছয়ের জন্য এখনো সবগুলো দলেরই সমান সুযোগ রয়েছে।
প্রিমিয়ার লীগের নবম রাউন্ডের বিকেএসপির-৩ মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে মেহরাব হোসেন জুনিয়রের উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের বাকি তিনজনই ফিরেন সেট হয়েও। মেহেদী মারুফ ৩৭, জাকির হাসান ৪৪ ও আল আমিন আউট হয়েছেন ৩৭ রান করে। ৩৭তম ওভারে ১৮৩ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি আড়াইশ পার হয় ইউসুফের দৃঢ়তায়। ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান ৬০ বলে চারটি ছয় ও সমান চারের মারে খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গাজীর সেরা বোলার অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
লক্ষ্য তাড়া করতে ৬৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া গাজীকে পথ দেখান জহুরুল ও আসিফ। সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাচসেরা জহুরুল। অধিনায়ক ১১৩ বলে ৮টি চার ও তিনটি ছক্কায় করেন ১০৩ রান। ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে বাকিটা সারেন আসিফ। ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ১০৫ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৯১ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই তার সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের ফাওয়াদ ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব- গাজী
টস: গাজী (ফিল্ডিং)
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৫৭/৯ (মারুফ ৩২, জাকির ৪৪, আল আমিন ৩৭, টিপু ১/৩৪, নাঈম ৪/৫৩, মুমিনুল ১/১৮)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৮.৪ ওভারে ২৫৮/৩ (জহুরুল আহত অবসর ১০৩, মেহেদি ২২, আসিফ ৯১*, এনামুল জুনিয়র ২/৫২ নাহিদুল ১/৪২)
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: জহুরুল ইসলাম