জয়ের ধারায় মোহামেডান

আবার জয়ের ধারায় ফিরলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল ফতুল্লা স্টেডিয়ামে তারা হারায় শাইনপুকুর ক্লাবকে। এ হারের ফলে আগের রাউন্ডে দ্বিতীয়স্থানে উঠে যাওয়া দলটি নেমে গেছে চার নম্বরে। কাকতালীয় হলেও এদিন হেরেছে শাইনপুকুরের একই ঘরানার দল আবাহনী লিমিটেড। আবাহনী হেরেছে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল প্রাইম দোলেশ্বরের কাছে। টসে জিতে মোহামেডান ৩০৫ রানের ইনিংস গড়লে তা টপকাতে ব্যর্থ হয় শাইনপুকুর। তাদের ইনিংস থেমে যায় ১১ বল বাকি থাকতে ২৬৮ রানে। মোহামেডানের জয়টা ৩৮ রানের। এ জয়ে ৯ খেলায় ৯ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে তারা। শাইনপুকুরের সংগ্রহ সমান খেলায় ১০। আগের খেলায় ১০৮ রানে অলআউট হওয়া মোহামেডান এদিন আসরের তৃতীয় আর নিজেদের দ্বিতীয় ৩০০ ছাড়ানো ইনিংস গড়ে। ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে তারা। এ ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও হাফ সেঞ্চুরি ছিল চারটি। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন রনি তালুকদার। ওপেনার থেকে ওয়ানডাউনে পিছিয়ে নেমে রনি ৭৩ বলের ইনিংসে চারটি ছক্কা আর ৬টি চার মারেন। অধিনায়ক শামসুর রহমান ৬০, সাঈদ সরকার ৫৮ আর রকিবুল হাসান করেন ৫৫ রান। কুমিল্লার ২০ বছর বয়সী সাঈদ এ আসরে মাঠে নামেন দ্বিতীয়বারের মতো। মাত্র ২৪ বলে হার না মানা ৫৮ রানের পথে পাঁচবার বল উড়িয়ে মাঠের বাইরে পাঠান। ম্যাচসেরাও হন তিনি। শাইনপুকুরের তরুণ তারকা সাইফুদ্দীন ছাড়া অন্য বোলাররা সুবিধাই করতে পারেননি। তিনি ৩ উইকেট নেন ৬৬ রানে। তবে দলটির অধিনায়ক শুভাগত হোম ৭ ওভারে ২৮ রান দিলেও নিজের বাকি তিন ওভার করেননি। আলোচিত বোলার আফিফকে বল করতে দেয়া হয় ২ ওভার। তিনি তাতে দেন ১৫ রান।
শাইনপুকুর শুরুটা ভালো করলেও মিডল অর্ডারের ধস তাদের পিছিয়ে দেয়। ৯৫ রানে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। ষষ্ঠ উইকেটে শুভাগত ও সাইফুদ্দিন ৭৪ রানের জুটি গড়লেও তা কাজে আসেনি। সাইফুদ্দিন সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন ৬৫ বলে। আর শুভাগত ৫২ রান করেন ২৫ বলে ৫ ছক্কায়। মোহামেডানের মোহাম্মদ আজিম এদিনও চার উইকেট নেন ৪৫ রানে। আর তাইজুল ৩ উইকেট নেন ৬৩ রানে।