বাংলারজমিন
ভাতার আশ্বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণ
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে কৌশলে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবন্ধী ছেলের জন্য সরকারি ভাতার কার্ড দেয়ার মিথ্যা আশ্বাসে এ ঘটনা ঘটানো হয়। এর আগে কার্ড মঞ্জুরের খরচ বাবদ গৃহবধূর কাছ থেকে ৪১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত নাছির মীরকে থানা পুলিশ কৌশলে আটক করে।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাঁসা গ্রামের মৃত বসু মীরের ছেলে নাছির মীর (৫৮)। গত ২৪শে জানুয়ারি গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী ধানুয়া বাজার থেকে অটোরিকশা যোগে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে দু’জনের পরিচয় হয়। গৃহবধূর একজন প্রতিবন্ধী ছেলের কথা জানতে পারেন নাছির মীর। এ সুযোগে তিনি সরকারিভাবে ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দেন গৃহবধূকে। তিনি গৃহবধূর মোবাইল ফোন নম্বরও নিয়ে নেন। কয়েকদিন পরে নাছির মীর গৃহবধূকে জানান, শাখাওয়াতের জন্য আজীবন ভাতা মঞ্জুর করতে সব মিলিয়ে ৪১ হাজার টাকা লাগবে। গৃহবধূ টাকা নিয়ে গেলে তাকে ঢাকা যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর লঞ্চে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ঢাকার সদরঘাট থেকে তাকে নিয়ে কমলাপুরে একটি আবাসিক হোটেলে উঠানো হয়। সেখানে নাছির মীর তাকে আবারও ধর্ষণ করতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে ফের ধর্ষণ করা হয়। পরে এদিন বিকালে হোটেল থেকে বের করে লঞ্চযোগে চাঁদপুর হয়ে নিজ গ্রামের বাড়ির সামনে হুমকি দিয়ে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি গতকাল থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে সূত্র জানিয়েছে, নাছির মীরকে আদালত উপস্থিত করা হলে বিচারক তাকে চাঁদপুর উপকারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম জানান, দু’জনের সঙ্গে আলাদা কথা বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাঁসা গ্রামের মৃত বসু মীরের ছেলে নাছির মীর (৫৮)। গত ২৪শে জানুয়ারি গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী ধানুয়া বাজার থেকে অটোরিকশা যোগে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে দু’জনের পরিচয় হয়। গৃহবধূর একজন প্রতিবন্ধী ছেলের কথা জানতে পারেন নাছির মীর। এ সুযোগে তিনি সরকারিভাবে ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দেন গৃহবধূকে। তিনি গৃহবধূর মোবাইল ফোন নম্বরও নিয়ে নেন। কয়েকদিন পরে নাছির মীর গৃহবধূকে জানান, শাখাওয়াতের জন্য আজীবন ভাতা মঞ্জুর করতে সব মিলিয়ে ৪১ হাজার টাকা লাগবে। গৃহবধূ টাকা নিয়ে গেলে তাকে ঢাকা যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর লঞ্চে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ঢাকার সদরঘাট থেকে তাকে নিয়ে কমলাপুরে একটি আবাসিক হোটেলে উঠানো হয়। সেখানে নাছির মীর তাকে আবারও ধর্ষণ করতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে ফের ধর্ষণ করা হয়। পরে এদিন বিকালে হোটেল থেকে বের করে লঞ্চযোগে চাঁদপুর হয়ে নিজ গ্রামের বাড়ির সামনে হুমকি দিয়ে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর তিনি গতকাল থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে সূত্র জানিয়েছে, নাছির মীরকে আদালত উপস্থিত করা হলে বিচারক তাকে চাঁদপুর উপকারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম জানান, দু’জনের সঙ্গে আলাদা কথা বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।