বিনোদন

‘ধীরে ধীরে গোছাচ্ছি’

ফয়সাল রাব্বিকীন

১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। বিশেষ করে ফোক গানে একটি শক্ত অবস্থান তিনি গড়েছেন অনেক আগেই। আর আধুনিক গানেও রয়েছে তার দুর্দান্ত বিচরণ। নিজের একক অ্যালবামের মাধ্যমে ডলির অনেক গান শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, যেগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে। অ্যালবামের পাশাপাশি তিনি গেয়েছেন চলচ্চিত্রেও। আর স্টেজেতো সারা বছরই সরব থাকেন তিনি। মধ্যে কয়েক বছরের বিরতি নিয়েছিলেন অ্যালবাম থেকে। তবে এখন আবার সরব ডলি। আর বর্তমানে স্টেজ শো নিয়ে দেশ-বিদেশে তুমুল ব্যস্ততা যাচ্ছে তার। সব মিলিয়ে বর্তমান দিনকাল কেমন কাটছে? উত্তরে ডলি  সায়ন্তনী বলেন, খুব ভালো কাটছে। গান নিয়েই আসলে সময় চলে যায়। আর পরিবারকেও সময় দিচ্ছি। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি। এখনকার মূল ব্যস্ততা কি নিয়ে? ডলি উত্তরে বলেন, আসলে এতদিন তো স্টেজের মৌসুম ছিল। এই সময়টায় টানা ব্যস্ত থাকতে হয়। এবারও তাই হয়েছে। টানা শোয়ের ব্যস্ততা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করেছি। এখনও শো হচ্ছে। আর এসব শোতে শ্রোতাদের সামনে সরাসরি গান শোনাতে খুবই ভালো লাগে। আমি বিষয়টি অনেক এনজয় করি। দেশের বাইরে কি শো আছে সামনে? ডলি বলেন, বেশ কিছু দেশে যাওয়ার কথাবার্তা হচ্ছে। তবে পাকাপাকি হয়নি। খুব শিগগিরই হয়তো ব্যাটে বলে মিললে বিদেশের মাটিতে শো করতে যাবো। একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন বছর
দুয়েক আগে। এরপর আর অ্যালবাম করেননি। নতুন গানের কি খবর? ডলি বলেন, আসলে আমার স্টেজ ব্যস্ততাটা খুব বেশি। মধ্যে ৭ বছর অডিও ইন্ডাস্ট্রির মন্দার কারণে নতুন গান ও অ্যালবাম থেকে দূরে ছিলাম। এরপর অবশ্য সাউন্ডটেক থেকে অ্যালবাম প্রকাশ করি। ভেবেছিলাম নিয়মিত গান করবো। কিন্তু অ্যালবামের ধারাবাহিকতাটা থাকেনি। কারণ হলো স্টেজসহ অন্য ব্যস্ততা। তবে ধীরে ধীরে গোছাচ্ছি। খুব শিগগিরই হয়তো অ্যালবামের কাজ শুরু করবো। একটি দ্বৈত অ্যালবামও করার কথা ছিল আপনার ভাই বাদশা বুলবুলের সঙ্গে। সেটার কি খবর? ডলি বলেন, আসলে করবো করবো করে আর করা হয়নি। আমার ভাই বাদশা বুলবুল সুর করেছে কয়েকটি গানের। সেগুলো নিয়ে সামনে বসবো। এটা খুব ভালো একটি অ্যালবাম হবে আশা করি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শ্রোতাদের হাতে তুলে দেবো এটি। এই সময়ে গানের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? ডলি সায়ন্তনী বলেন, এখন আর জমজমাট বিষয়টি নেই। আগে উৎসব মুখর পরিবেশে ক্যাসেট বের হতো। একজন জনপ্রিয় শিল্পীর লাখ লাখ কপি ক্যাসেট বিক্রি হতো। এরপর ক্যাসেটের পরিবর্তে সিডির যুগ এল। সে পর্যন্ত ভালোই ছিল। কিন্তু এখনতো সিডিও নেই। ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে। সে কারণে আগের মতো আর গান কিংবা অ্যালবাম নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ নেই। আর এখন কখন কোথা দিয়ে গান প্রকাশ হচ্ছে টের পাওয়া যায় না। কোনো জায়গায় গান শোনাও যায় না। কারণ গান এখন হেডফোনে বন্দি। প্রযুক্তির ফলে গান শোনা সহজ হয়েছে। কিন্তু আগের ব্যাপারটা আর নেই।
এখনকার গান কি শোনা হয়? কেমন মনে হয়? ডলি বলেন, মাঝে মধ্যে শোনা হয়। অনেকের গান ভালো লাগে। মেধাবী অনেক শিল্পী রয়েছে এই প্রজন্মের। তারা যদি সঠিক পথে থাকে অনেক দূর যাবে। তবে তরুণ প্রজন্মের একটি বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। সেটা হলো সুরের ব্যাপারে। এখনকার বেশিরভাগ গানই কাছাকাছি সুরের। গানে তাই বৈচিত্র্য কম। গানে বৈচিত্র্য না থাকলে তা বেশি দূর যেতে পারে না। তাই এটা এই সময়ে খুব দরকার।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status