এক্সক্লুসিভ

নিবন্ধন ঝুঁকিতে ১১ রাজনৈতিক দল

সিরাজুস সালেকিন

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

নির্দিষ্ট সময়ে নিবন্ধনের শর্ত পালনের প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ১১টি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহে দলগুলোকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে দ্বিতীয় দফায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কোনো দল ব্যর্থ হয় তবে সে দলের নিবন্ধন বাতিলের চিন্তা করছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। নিবন্ধন শর্ত প্রতিপালন করছে কিনা জানতে চেয়ে গত বছরের পহেলা নভেম্বর প্রথম বারের মতো সতর্ক করেছিল ইসি। ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপাসহ ৪০টি নিবন্ধিত দলকে চিঠি দিয়েছিল সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। পরে ২৯টি দল তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও ১১টি দল তা দিতে ব্যর্থ হয়। প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এসব দলের নিবন্ধন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি কর্মকর্তারা। তারা বলছেন এর আগেও দলের প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় একটি দলের নিবন্ধন বাতিল করেছিল ইসি। এবারও সে পথে হাঁটতে চায় ইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ এবং পরে চিঠি দেয়ার পরও ১১টি দল তাদের গঠনতন্ত্র জমা দেয়নি। এসব দলের মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, গণফ্রন্ট, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক অন্দোলন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০ বি এর দফা (১) বি এর শর্তাদি নিবন্ধিত দল হিসেবে প্রতিপালন সম্পর্কে নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ (২০১২ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেয় ইসি। নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, শর্ত পূরণ করেই দলগুলো নিবন্ধিত হয়েছিল। তাদের বেশ কিছু বিষয় প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। এ জন্য আমাদের ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা মেনে সর্বশেষ অবস্থা জানাতে নিবন্ধিত দলগুলোকে চিঠি দিয়েছিলাম। কয়েকটি দল তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসি এসব দলের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনের আগে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে। ইসির রোডম্যাপে বলা হয়েছে- নিবন্ধিত দলগুলো বিধি-বিধানের আলোকে পরিচালিত হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখার আইনানুগ দায় ইসির রয়েছে। তারা শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে সব নিবন্ধিত দল একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর এ পর্যন্ত ৪২টি দল ইসিতে নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল ও আদালতের আদেশে ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ রয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ৪০টি দলকে নিবন্ধন দেয় ইসি। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী ও ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। পরে ২০১২ সালে বিএনএফ ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটকে নিবন্ধন দেয়া হয়। নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে অনেক দল কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের অফিস-কমিটি দিয়েছে। কিছু দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটি বহাল রয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এসব দল শর্ত প্রতিপালন করছে কিনা তা তদারকি করছে ইসি। ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে ২০১৮ সালের ৩০শে অক্টোবরের পর শুরু হবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status