অনলাইন
পৌরসচিবের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
যশোর পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুমের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্রাবণঅ রায় নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে মারাতœক জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের খালধার রোডের একটি ফ্লাটে। তবে স্থানীয়রা বলছেন ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পৌর সচিব মাসুম দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারিরিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন। গতকাল এমন কি ঘটলে যে ওই নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে কুপেিয় মারাতœক জখম করার ঘটনা ঘটালেন পৌর সচিব মাসুম। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি নিয়ে গতকাল দিনভোর শহরের ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত হয়। তবে একাধিক সূত্র এ বিষয়ে ভিন্ন তথ্যও প্রদান করেছেন। এ দিকে এই ঘটনায় যশেঅর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা রেকর্ড হয়েছে তবে থানা কর্তা নিশ্চিত করেছেন। মামলায় মাসুমকে প্রধান আসামী করা হয়েছে বলে তিনি জানান। অপরদিকে পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী দাবি করেন, পৌরসচিব মাসুম একজন দুশ্চ:চরিত্রের লোক। সে নানা প্রলোভনে একাধিক নারীর সাথে শারিরকি সম্পর্ক রক্ষা করে চলেন। যা নিয়ে ইতিপূর্বেও পৌর চত্বরে অনাকাঙ্খিত একাধিক ঘটনা ঘটে। তারা পৌর সচিবকে “লম্পট” আখ্যায়িত করে তাকে দ্রুত অপসারনের দাবি জানান।
সচিবের আক্রমণের শিকার শ্রাবণী রায় শহরের পশ্চিম বারান্দী খালধার রোড এলাকার ডাক্তার আশরাফ হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন। তার স্বামীর নাম দীপঙ্কর রায়। সচিবের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তার সংসার ভেঙেছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে অভিযুক্ত সচিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ঘটনার পর পরই প্রতিবেশীরা আহত শ্রাবণীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তার অবস্থা গুরুতর। তার শরীরে একাধিক স্থানে মারাতœক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নিবিড় তত্ববধানে রাখা হয়েছে।
শ্রাবণী রায়ের দাবি, পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম তার ধর্মভাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও সচিব তাকে নানা ভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি এর আগেও তার ওপর চড়াও হন। সর্বশেষ গত বুধবার রাত ৯টার দিকে মাতাল অবস্থায় মাসুম শ্রাবণী রায়ের ফ্লাটে ঢোকেন। এসময় সে শ্রাবণী রায়ের দুই মেয়ের সামনে তার শরীরে আপত্তিকর অবস্থায় হাত দিতে উদ্ধ্যত হন। এসময় শ্রাবণী রায় তাকে বাঁধা দিলে মাসুম ক্ষিপ্ত হয়ে তার গায়ে হাত তোলেন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শ্রাবণী বলেন ‘ আমাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা আমি মাসুমের স্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিই। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর আরো বেশি করে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে সে আমার বিবাহযোগ্য মেয়েদের ওপর নজর দিতে শুরু করে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই তাকে বাসা তেকে জোর করে বের করে দিই। একই সাথে রাতের সব ঘটনা আমি মাসুমের স্ত্রীকে জানায়। যা নিয়ে রাতেই তার স্ত্রীর সাথে মাসুমের ঝগড়া ঝাটি হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আমার বাসায় ঢুকে ফের আমার ওপর চড়াও হয়। এসময় সে আমাকে বাসায় একা পেয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে । এমনকি বালিশ চাপা দিয়ে অঅমাকে খুন করারও চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে পাশের ফ্লাটের বাসিন্দারা ছুটে এসে তার হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এই সুযোগে মাসুম পালিয়ে যায়।’
এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন ডাক্তার আশরাফিন নাসরিন দৃষ্টি বলেন, ‘শ্রাবণীর ডান পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তিনি মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন। সিটিস্ক্যান করতে বলা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।’
ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশ না করে এক কাউন্সিলর বলেন, ‘ঘটনা সত্য। ওই মহিলার সাথে সচিবের দীর্ঘদিনের শারীরিক সম্পর্ক। সাবেক মেয়রের আমলে পৌরসভায় এই নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠকও হয়েছিল।’ ‘শ্রাবণী নামে ওই মহিলাকে মাসুম বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই কারণে স্বামী দীপঙ্করের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়,’ বলছিলেন ওই জনপ্রতিনিধি।
সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদ আব্বাস রাজ বলেন, ‘ঘটনা সত্য। খালধার রোড এলাকাবাসী আমাকে ফোনে এঘটনা জানিয়েছেন।’
যোগাযোগ করা হলে যশোর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র (প্যানেল মেয়র) মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তা এই বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে পৌরসভার সূত্রগুলো জানিয়েছে, সচিব মাসুম লম্পট প্রকৃতির লোক। শহরের কাজীপাড়া, বেনাপোল সীমান্ত, কেশবপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চার-পাঁচ নারীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।’
জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) আবুল বাশার বলেন, ‘এই ধরনের একটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে অভিযুক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুমকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
সচিবের আক্রমণের শিকার শ্রাবণী রায় শহরের পশ্চিম বারান্দী খালধার রোড এলাকার ডাক্তার আশরাফ হোসেনের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন। তার স্বামীর নাম দীপঙ্কর রায়। সচিবের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কারণে তার সংসার ভেঙেছে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে অভিযুক্ত সচিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ঘটনার পর পরই প্রতিবেশীরা আহত শ্রাবণীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তার অবস্থা গুরুতর। তার শরীরে একাধিক স্থানে মারাতœক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে নিবিড় তত্ববধানে রাখা হয়েছে।
শ্রাবণী রায়ের দাবি, পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম তার ধর্মভাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও সচিব তাকে নানা ভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি এর আগেও তার ওপর চড়াও হন। সর্বশেষ গত বুধবার রাত ৯টার দিকে মাতাল অবস্থায় মাসুম শ্রাবণী রায়ের ফ্লাটে ঢোকেন। এসময় সে শ্রাবণী রায়ের দুই মেয়ের সামনে তার শরীরে আপত্তিকর অবস্থায় হাত দিতে উদ্ধ্যত হন। এসময় শ্রাবণী রায় তাকে বাঁধা দিলে মাসুম ক্ষিপ্ত হয়ে তার গায়ে হাত তোলেন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শ্রাবণী বলেন ‘ আমাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা আমি মাসুমের স্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিই। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর আরো বেশি করে চড়াও হয়। এক পর্যায়ে সে আমার বিবাহযোগ্য মেয়েদের ওপর নজর দিতে শুরু করে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই তাকে বাসা তেকে জোর করে বের করে দিই। একই সাথে রাতের সব ঘটনা আমি মাসুমের স্ত্রীকে জানায়। যা নিয়ে রাতেই তার স্ত্রীর সাথে মাসুমের ঝগড়া ঝাটি হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আমার বাসায় ঢুকে ফের আমার ওপর চড়াও হয়। এসময় সে আমাকে বাসায় একা পেয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে । এমনকি বালিশ চাপা দিয়ে অঅমাকে খুন করারও চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে পাশের ফ্লাটের বাসিন্দারা ছুটে এসে তার হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এই সুযোগে মাসুম পালিয়ে যায়।’
এদিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডের ইন্টার্ন ডাক্তার আশরাফিন নাসরিন দৃষ্টি বলেন, ‘শ্রাবণীর ডান পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। তিনি মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন। সিটিস্ক্যান করতে বলা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।’
ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য পৌরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। নাম প্রকাশ না করে এক কাউন্সিলর বলেন, ‘ঘটনা সত্য। ওই মহিলার সাথে সচিবের দীর্ঘদিনের শারীরিক সম্পর্ক। সাবেক মেয়রের আমলে পৌরসভায় এই নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠকও হয়েছিল।’ ‘শ্রাবণী নামে ওই মহিলাকে মাসুম বিয়ে করার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই কারণে স্বামী দীপঙ্করের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়,’ বলছিলেন ওই জনপ্রতিনিধি।
সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাশেদ আব্বাস রাজ বলেন, ‘ঘটনা সত্য। খালধার রোড এলাকাবাসী আমাকে ফোনে এঘটনা জানিয়েছেন।’
যোগাযোগ করা হলে যশোর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র (প্যানেল মেয়র) মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তা এই বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে পৌরসভার সূত্রগুলো জানিয়েছে, সচিব মাসুম লম্পট প্রকৃতির লোক। শহরের কাজীপাড়া, বেনাপোল সীমান্ত, কেশবপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চার-পাঁচ নারীর সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।’
জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) আবুল বাশার বলেন, ‘এই ধরনের একটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে অভিযুক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুমকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।