অনলাইন

চাঞ্চল্যকর টুকু হত্যার আসামী ৫ বছর পর গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৬:১৮ পূর্বাহ্ন

২০১২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বরের ঘটনা। কাজ সেরে রাতে কামরাঙ্গি চরের বাসায় ফেরেন মো. আল আমিন ওরফে টুকু। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে পাশ্ববর্তী মোশারফ হোসেনের চক পাউডার কারখানার কয়েক কর্মচারী তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সে আর বাসায় ফিরে আসেননি। ঘনিষ্টজনরা বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই কারাখানার মাঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ পান। পরে কামরাঙ্গিচর থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু নিহত টুকুর পরিবার পরে জানতে পারে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবেই তাকে হত্যা করেছে। আর এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল ওই চক পাউডার কারখানার কর্মচারি সোহেল (২৫), রুবেল (২৩), মো.ইসমাঈল (২৩), পায়েল (২৩) এবং সাজ্জাদ হোসেন। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মো. ওসমান গনি বাদী হয়ে সাজ্জাদ হোসেন পাঠানসহ বাকী তিন আসামীর বিরুদ্ধে কামরাঙ্গিচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে কামরাঙ্গিচর থানা পুলিশ। পরবর্তীতে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) প্রায় ৫ বছর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে। কিন্তু তদারপরও আসামী সাজ্জাদ হোসেন পাঠান গ্রেপ্তার না হওয়ায় এবং তার পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কিন্তু নিহতের পরিবারের সদস্যরা সাজ্জাদ হোসেনকে মামলা থেকে বাদ দেয়ার বিরুদ্ধে না রাজির আবেদন করেন আদালতে। পরে আদালত মামলাটি অধিকরত তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কে নির্দেশ দেন।
পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে পিবিআইর ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকার নয়ানগর থেকে আসামী সাজ্জাদ হোসেন পাঠানকে আটক করা হয়। আটক সাজ্জাদের কাছ থেকে পিবিআই জানতে পারে, আসামীরা ওই চক পাউডারের কারখানায় কাজ করতেন। ভিকটিমের বাড়ি কারখানার পাশে হওয়ার কারনে তাদের মধ্যে বেশ ঘনিষ্টতা ছিল। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকান্ডটি ঘটার পর থেকে আসামী সাজ্জাদ হোসেন ৫ বছর ধরে পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ চেষ্টাসহ আরো একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর আসামী সাজ্জাদকে মামলা থেকে বাদ দেয়ার কারনে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা আপত্তি জানায়। তাই মামলাটি আরো তদন্তের জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দেন। আমরা চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রকৃত আসামী ও হত্যার কারণ জানতে পেরেছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status