অনলাইন
আপিল আবেদনে খালেদা
‘আদালত আমার বক্তব্য মিসকোট করেছেন’
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ১:৩০ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার আপিল আবেদনে বলেছেন, আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে ইচ্ছাকৃত তার বক্তব্যকে মিসকোট করেছেন। রায়ে ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহারের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন’ বলে যে বাক্যটি রয়েছে সে প্রসঙ্গে এ কথা বলেন খালেদা।
মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে খালেদার দায়ের করা আপিল পিটিশনে বলা হয়েছে, 'আদালত জালিয়াতির মাধ্যমে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন।' জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের ৬২৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে, ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। আদালতের এই বক্তব্য নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া দোষ স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, 'তাই, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারার অধীনে তাকে শাস্তি দিতে কোনো বাধা নেই।' নিজের আপিল আবেদনে খালেদা বলেন, '...অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই মানুষকে নির্বিচারে গুলি করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিত্য হত্যা করা হচ্ছে। এসব কি ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? আমি কি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছি? শেয়ার বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে।...আমি বুঝতে পারি না কেন আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জনগণের কাছে স্পষ্ট যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।' সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'এ সমস্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে।' বর্তমানে কারান্তরীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। নিজের আপিল আবেদনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে আপিলে ৪৪টি কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি। এই মামলায় নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে খালেদার দায়ের করা আপিল পিটিশনে বলা হয়েছে, 'আদালত জালিয়াতির মাধ্যমে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন।' জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের ৬২৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে, ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। আদালতের এই বক্তব্য নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া দোষ স্বীকার করেছেন উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, 'তাই, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারার অধীনে তাকে শাস্তি দিতে কোনো বাধা নেই।' নিজের আপিল আবেদনে খালেদা বলেন, '...অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বললেই মানুষকে নির্বিচারে গুলি করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিত্য হত্যা করা হচ্ছে। এসব কি ক্ষমতার অপব্যবহার নয়? আমি কি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছি? শেয়ার বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে।...আমি বুঝতে পারি না কেন আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জনগণের কাছে স্পষ্ট যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।' সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'এ সমস্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে।' বর্তমানে কারান্তরীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। নিজের আপিল আবেদনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে আপিলে ৪৪টি কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি। এই মামলায় নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।