দেশ বিদেশ
চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোর-জি চালু করলো গ্রামীণফোন
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
সেরা সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ফোর-জি সেবা চালু করেছে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শাহেদ কোম্পানির হেড অফ ডিজিটাল সোলায়মান আলম এবং চট্টগ্রামের সার্কেল প্রধান শাওন আজাদকে নিয়ে গতকাল ফোর-জি সেবা চালু করেন। গ্রামীণফোনের ফোর-জি সোমবার বিকালে একই সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামে চালু করা হয়। গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্তমানে চট্টগ্রামের দামপাড়া, খুলশী এবং নাসিরাবাদে ফোর-জি সেবা চালু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রামের আরো এলাকা ফোর-জি কাভারেজের আওতায় আসবে। বেশিরভাগ বিভাগীয় শহরে অচিরেই ফোর-জি চালু হবে। প্রতিষ্ঠানটি থ্রিজির ক্ষেত্রে যেমন করেছিল এবারো একই রকম দ্রুতগতিতে ফোর-জি বিস্তার করা হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যেই সব জেলা শহরে ফোর-জি পৌঁছে যাবে। ফোর-জি সেবা চালু করার সময় কাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, গ্রামীণফোন চট্টগ্রামের গ্রাহকদের জন্য সেরা সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ফোর-জি’র ক্ষেত্রেও এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রাম আমাদের ফোর-জি বিস্তার পরিকল্পনায় যথাযথ স্থান পাবে। এছাড়াও মাইকেল বাংলাদেশে ফোর-জি বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করায় বাংলাদেশ সরকার, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসিকে ধন্যবাদ জানান। এর আগে গ্রামীণফোনকে ফোর-জি পরিচালনার লাইসেন্স দেয়া হয়। সমপ্রতি প্রতিষ্ঠানটি ১৮০০ ব্যান্ড ৫ মেগাহার্জ বেতার তরঙ্গ কেনার ফলে ফোর-জি/এলটিই বিস্তারের জন্য সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যান্ডে সর্বাধিক স্পেকট্রাম হাতে পেয়েছে। এই নতুন স্পেকট্রাম এবং বিদ্যমান স্পেকট্রামে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা গ্রামীণফোনকে সেরা ফোর-জি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার ফলে গ্রামীণফোন তার ৯০০, ১৮০০ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের স্পেকট্রামে আরো দক্ষতার সঙ্গে ভয়েস ও ডাটা সেবা দিতে পারবে। ফোর-জি বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নের ফলে গ্রাহকরা এইচডি ভিডিও, লাইভ টিভি স্ট্রিমিং, ঝকঝকে ভিডিও কল আর দ্রুতগতির ডাউনলোড উপভোগ করতে পারবেন। কাজী মোহাম্মদ শাহেদ আরো বলেন, ফোর-জি ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর বাস্তবায়নকে আরো এগিয়ে দেবে এবং চট্টগ্রামের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আরো ডিজিটালাইজড হয়ে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো অবস্থান সৃষ্টি করতে পারে। গ্রামীণফোন বাংলাদেশে তার গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনধারাকে এগিয়ে নিতে একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে। ফোর-জি চালু হওয়ায় দেশের মানুষ এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রামীণফোন এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের আরো অনেক প্রয়োজনীয় সেবা নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। টেলিনর গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন গ্রামীণফোন ৬৫ মিলিয়নেরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন। যার মাধ্যমে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।