শেষের পাতা
ফোর-জি সেবায় আগ্রহ
স্টাফ রিপোর্টার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর ফোর-জি (চতুর্থ প্রজন্ম) মোবাইন ফোন নেটওয়ার্ক। ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। অনেক আগ্রহ বেড়ে গেছে উচ্চ গতির এ ফোর-জি সিম পেতে। গ্রাহকরা ভিড় করছেন কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতে। ফোর-জি সেবা পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হলে গ্রাহকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী কর্মকর্তারা। গ্রামীণফোনের ফার্মগেট শাখা কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক মো. রাশেদুর রহমান তালুকদার বলেন, ফোর-জি সেবা চালু করার কথা শোনে গ্রাহকরা সিম রিপ্লেস করার জন্য আসছে। তবে গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর ঘোষণার পরে গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি। গ্রামীণফোন অপারেটরের এই কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকায় গ্রাহকরা এতদিন অস্বস্তিতে ছিলেন। ফোরজি চালু হওয়ায় গ্রাহকরা যেমন গতি পাবেন, তেমনি তাদের সময় বাঁচবে। গতকাল সকালে এই গ্রামীণফোনের ফার্মগেট শাখা কাস্টমার সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকরা
তাদের মোবাইল ফোনের থ্রি-জি সিমকে ফোর-জি সিমে রূপান্তর করার জন্য টিকিট হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে একই পরিবারের একাধিক ফোরজি সিমের জন্য এসেছেন। তাদের মধ্যে ধানমন্ডির মুকতাদির সকাল থেকে সিম রিপ্লেসের অপেক্ষায় বসে আছেন। তিনি বলেন, আমাদের বাসায় সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। দেশে এবার ফোরজি ইন্টারনেট চালু হলো। এ সিমে নাকি অনেক গতি। তাই ফোরজি সিমের অপেক্ষায় বসে আছি। একই রকম ভাবে ফোর-জি সিমের জন্য এসেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের কর্মকর্তা লালচান মিয়া। কাস্টমার সেন্টারে খুব ভিড় হওয়ায় সকাল থেকেই টিকিট হাতে বসে আছেন তিনি। এই গ্রাহক মানবজমিনকে বলেন, এখন ইন্টারনেটও বেশি গতিতে ব্যবহার করা যাবে বলে জানান এই গ্রামীণফোনের গ্রাহক। মোবাইল ফোনের সঙ্গে ফোর-জি সিম সংযোগসহ সেবা নিয়ে যেতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের মধ্যে আকবর আলী বলেন, ফোর-জি সিমের জন্য রাতে মেসেজ পেয়েছি। একটি মোবাইলও দরকার। নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করি। তাই ফোর-জি সিমের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোনও কিনলাম। তবে গ্রামীণফোন কাস্টমার সেন্টারের চেয়ে ইন্দিরা রোডে বাংলালিংক অপারেটর কাস্টমার সেন্টারে গ্রাহক সংখ্যা তুলনামূলক একটু কম ছিল। সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল সকাল থেকেই গ্রাহকরা সিম রিপ্লেস করতে আসছেন। এই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ফোরজির কথা শুনে অনেকেই সিমের জন্য আসছে। এ সিমের কার্যকারিতার কথা শুনেছি। তবে ব্যবহার না করা পর্যন্ত ফোর-জি’র গতি বলা মুশকিল। যখন পুরোদমে সেবা চালু হবে তখন গ্রাহক সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। একই অবস্থা দেখা গেছে ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত রবি অপারেটর কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে। ফোর-জি সিমের অনেক গ্রাহক দীর্ঘ সময় ধরে সিমের জন্য অপেক্ষা করছেন। এসব গ্রাহক জানান, বেশি গতির ফোর-জি আমাদের জন্য সুখবর। এখন ইন্টারনেটে গতি নিয়ে আর বিরুক্তি আসবে না। তাই আগেভাগেই ফোর-জি সিম নিতে কাস্টমার সেন্টারে এসেছেন বলে তারা জানান। তবে থ্রি-জি’র সিম ফোর-জি রিপ্লেস করতে কাস্টমার সেন্টারগুলো টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি সিমের অনেক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেক সিমের বদলে আমাদের থেকে নেয়া হচ্ছে ১১০ টাকা। সিম রিপ্লেস করার জন্য কোনো টাকা নেয়ার কথা না বলে জানান সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা।
তাদের মোবাইল ফোনের থ্রি-জি সিমকে ফোর-জি সিমে রূপান্তর করার জন্য টিকিট হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে একই পরিবারের একাধিক ফোরজি সিমের জন্য এসেছেন। তাদের মধ্যে ধানমন্ডির মুকতাদির সকাল থেকে সিম রিপ্লেসের অপেক্ষায় বসে আছেন। তিনি বলেন, আমাদের বাসায় সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। দেশে এবার ফোরজি ইন্টারনেট চালু হলো। এ সিমে নাকি অনেক গতি। তাই ফোরজি সিমের অপেক্ষায় বসে আছি। একই রকম ভাবে ফোর-জি সিমের জন্য এসেছেন ল্যাবএইড হাসপাতালের কর্মকর্তা লালচান মিয়া। কাস্টমার সেন্টারে খুব ভিড় হওয়ায় সকাল থেকেই টিকিট হাতে বসে আছেন তিনি। এই গ্রাহক মানবজমিনকে বলেন, এখন ইন্টারনেটও বেশি গতিতে ব্যবহার করা যাবে বলে জানান এই গ্রামীণফোনের গ্রাহক। মোবাইল ফোনের সঙ্গে ফোর-জি সিম সংযোগসহ সেবা নিয়ে যেতে দেখা গেছে অনেককে। তাদের মধ্যে আকবর আলী বলেন, ফোর-জি সিমের জন্য রাতে মেসেজ পেয়েছি। একটি মোবাইলও দরকার। নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করি। তাই ফোর-জি সিমের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোনও কিনলাম। তবে গ্রামীণফোন কাস্টমার সেন্টারের চেয়ে ইন্দিরা রোডে বাংলালিংক অপারেটর কাস্টমার সেন্টারে গ্রাহক সংখ্যা তুলনামূলক একটু কম ছিল। সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল সকাল থেকেই গ্রাহকরা সিম রিপ্লেস করতে আসছেন। এই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ফোরজির কথা শুনে অনেকেই সিমের জন্য আসছে। এ সিমের কার্যকারিতার কথা শুনেছি। তবে ব্যবহার না করা পর্যন্ত ফোর-জি’র গতি বলা মুশকিল। যখন পুরোদমে সেবা চালু হবে তখন গ্রাহক সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। একই অবস্থা দেখা গেছে ফার্মগেট এলাকায় অবস্থিত রবি অপারেটর কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে। ফোর-জি সিমের অনেক গ্রাহক দীর্ঘ সময় ধরে সিমের জন্য অপেক্ষা করছেন। এসব গ্রাহক জানান, বেশি গতির ফোর-জি আমাদের জন্য সুখবর। এখন ইন্টারনেটে গতি নিয়ে আর বিরুক্তি আসবে না। তাই আগেভাগেই ফোর-জি সিম নিতে কাস্টমার সেন্টারে এসেছেন বলে তারা জানান। তবে থ্রি-জি’র সিম ফোর-জি রিপ্লেস করতে কাস্টমার সেন্টারগুলো টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি সিমের অনেক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেক সিমের বদলে আমাদের থেকে নেয়া হচ্ছে ১১০ টাকা। সিম রিপ্লেস করার জন্য কোনো টাকা নেয়ার কথা না বলে জানান সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা।