বাংলারজমিন
কুলিয়ারচরে হারিছ হত্যা মামলার রায় নয় জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘ ২১ বছরেরও বেশি সময় পর কুলিয়ারচরে মাংস বিক্রেতা হারিছ মিয়া (৩৫) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণা করেন বিচারক মুহা. আবু তাহের। রায়ে অভিযুক্ত ১০ আসামির নয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের মাতুয়ারকান্দা গ্রামের মৃত মালাচানের দুই ছেলে আবু বাক্কার ও মতি মিয়া, শুক্কুর আলীর দুই ছেলে ইসমাঈল ও মোস্তফা, মৃত মালাচানের ছেলে আবু ছিদ্দিক, মৃত নুছরত আলীর ছেলে ওয়াহাব, মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আউয়াল, একবর আলীর ছেলে মহরম আলী এবং পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের রুস্তম। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত মহরম আলীর ভাই ইব্রাহীম খালাস পেয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামির মধ্যে আবু ছিদ্দিক ও রুস্তম ছাড়া বাকি আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। আবু ছিদ্দিক ও রুস্তম পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হারিছ মিয়া কুলিয়ারচর বাজারের মাংস বিক্রেতা এবং উপজেলার মাতুয়ারকান্দা গ্রামের মুকসুদ আলীর ছেলে। পারিবারিক বিরোধের জেরে ১৯৯৬ সালের ২৪শে অক্টোবর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রপক্ষে বাদীপক্ষের ব্যক্তিগত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহজাহান এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামিরা ১৯৯৬ সালের ২৪শে অক্টোবর সকালে হারিছ মিয়াকে বাড়ির সামনের রাস্তায় আটক করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হারিছ মিয়াকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই রাতে হারিছ মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০০ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর সিআইডি ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে রফিক, শামসু ও জালাল নামে তিন আসামির মৃত্যু হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামিরা ১৯৯৬ সালের ২৪শে অক্টোবর সকালে হারিছ মিয়াকে বাড়ির সামনের রাস্তায় আটক করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হারিছ মিয়াকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই রাতে হারিছ মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০০ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর সিআইডি ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে রফিক, শামসু ও জালাল নামে তিন আসামির মৃত্যু হয়।