বাংলারজমিন
চিকিৎসকের অবহেলা
শেরপুরে ক্লিনিকে নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
শেরপুরের শেরুয়া পালস্ জেনারেল (প্রাঃ) হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। মৃত প্রসূতির নাম পুতুল রানী (৩০)। তার স্বামীর নাম শিবেন হালদার। বাড়ি শেরপুর উপজেলার ৩নং খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁঝর গ্রামে। এদিকে নবজাতক কন্যা সন্তান ও স্ত্রীর মৃত্যুতে গত সোমবার প্রসূতির স্বামী শেরপুর থানায় বাদী হয়ে পালস্ (প্রাঃ) হাসপাতালের মালিক ডা. আখতারুল আলম আজাদ, হাসপাতালের ম্যানেজার মো. আমিনুল ইসলাম (৩৭) এবং ক্লিনিকের অফিস কর্মচারী একই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (৩২) সহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শেরপুর উপজেলার পৌরশহরের দক্ষিণে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন হামছায়াপুর কাঁঠালতলা রাস্তার পশ্চিম পাশে প্রায় এক যুগ আগে পালস্ জেনারেল (প্রাঃ) হাসপাতাল গড়ে উঠে। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে প্রসব ব্যথায় নিজ বাড়িতে কাতরাতে থাকে গর্ভবর্তী পুতুলী হালদার। এরপর সেখানে সন্তান প্রসব না হওয়ায় রাত ১টার দিকে ওই প্রসূতিকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে পালস্ হাসপাতালে সিজার করার বিশেষ চুক্তিতে ভর্তি করা হয়। এসময় ওই ক্লিনিকে ২ জন আয়া, ২ জন নার্স আর ইউসুফ আলীতে দেখা যায়। রোববার সকাল ৮টায় অসুস্থ পুতুল রানীর সিজার করা হয়। এরপর আয়া নার্স সবাই জানায়, নবজাতক কন্যা শিশু মারা গেছে। রাতে সুচিকিৎসা না দেয়ার কারণে প্রসূতি পুতুল রানী অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওইদিন দুপুরের পর পুতুল রানী মারা যান।
এঘটনার পর পালস্ ক্লিনিকে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানকালে পুলিশ আসামি আমিনুল ইসলাম ও ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করেন। তার আগে পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ডা. আখতারুল আলম আজাদ ও গাইনী সার্জন শেরপুর হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. লুৎফুন নেছা সহ অন্যরা পালিয়ে যান। এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শেরপুর উপজেলার পৌরশহরের দক্ষিণে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন হামছায়াপুর কাঁঠালতলা রাস্তার পশ্চিম পাশে প্রায় এক যুগ আগে পালস্ জেনারেল (প্রাঃ) হাসপাতাল গড়ে উঠে। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে প্রসব ব্যথায় নিজ বাড়িতে কাতরাতে থাকে গর্ভবর্তী পুতুলী হালদার। এরপর সেখানে সন্তান প্রসব না হওয়ায় রাত ১টার দিকে ওই প্রসূতিকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে পালস্ হাসপাতালে সিজার করার বিশেষ চুক্তিতে ভর্তি করা হয়। এসময় ওই ক্লিনিকে ২ জন আয়া, ২ জন নার্স আর ইউসুফ আলীতে দেখা যায়। রোববার সকাল ৮টায় অসুস্থ পুতুল রানীর সিজার করা হয়। এরপর আয়া নার্স সবাই জানায়, নবজাতক কন্যা শিশু মারা গেছে। রাতে সুচিকিৎসা না দেয়ার কারণে প্রসূতি পুতুল রানী অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওইদিন দুপুরের পর পুতুল রানী মারা যান।
এঘটনার পর পালস্ ক্লিনিকে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানকালে পুলিশ আসামি আমিনুল ইসলাম ও ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করেন। তার আগে পুলিশের উপস্থিতি জানতে পেরে মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ডা. আখতারুল আলম আজাদ ও গাইনী সার্জন শেরপুর হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক ডা. লুৎফুন নেছা সহ অন্যরা পালিয়ে যান। এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।