এক্সক্লুসিভ
কুমিল্লার রানী ময়নামতি প্রাসাদ খননে মিলেছে মূল্যবান প্রত্নসম্পদ
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার রানী ময়নামতি প্রাসাদ খননে মিলেছে বিশেষ পথের সন্ধান। এ খননে আবিষ্কৃত হয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাতিয়ার, জীবাশ্ম কাঠ, কালির দোয়াতসহ বিভিন্ন মূল্যবান প্রত্ন সম্পদ। গত দুই মাসব্যাপী এ খনন কাজ করা হয়। সোমবার জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতিতে রাণী ময়নামতি প্রাসাদ এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উন্মোচিত স্থাপনা ও আবিস্কৃত প্রত্নবস্তুর অনসাইট প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এতে স্থানীয় এলাকার ৫টি স্কুল ও কলেজের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
জানা গেছে, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকায় লালমাই ময়নামতি পাহাড় শ্রেণির সর্ব উত্তরের বিচ্ছিন্ন পাহাড়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে রানী ময়নামতির প্রাসাদটি অবস্থিত। ১০ একর আয়তনের এ প্রত্নস্থলটি লালমাই-ময়নামতি এলাকার অন্যান্য পুরাকীর্তির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে খননে এখানে ৫১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫শ’ ফুট আয়তনের বেষ্টনী প্রাচীর এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় ক্রশাকার মন্দিরসহ ৪টি নির্মাণ যুগের স্থাপত্য নিদর্শন উন্মোচিত হয়। এছাড়া ৪টি বসতি স্তরে পোড়ামাটির ফলক, মূল্যবান প্রত্নবস্তু ও মাটির পাত্র ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়। প্রত্নস্থলের উত্তর-পশ্চিম অংশে সীমিত আকারে খনন করা হয়। ফলে এ স্থান সম্পর্কে প্রত্ন অনুসন্ধিৎসুকদের মধ্যে একটি কৌতুহল থাকায় এই পুরাকীর্তির উত্তর-পশ্চিমে উঁচু ঢিবিতে কোন স্থাপনা আছে কি-না তা পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৬-’১৭ অর্থ বছর থেকে পুনরায় খনন শুরু হয়ে ২০১৭-’১৮ অর্থ বছরেও সেই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়। গত বছরের ১২ই নভেম্বর হতে মাঠ পর্যায়ে খনন কাজ শুরু করা হয় এবং চলতি বছরের গত ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। রাণী ময়নামতি প্রাসাদ এলাকায় সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উন্মোচিত স্থাপনা ও আবিস্কৃত প্রত্নবস্তুর অনসাইট প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। এতে ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, এ বছর রাণী ময়নামতি প্রাসাদ খননে পশ্চিম দিকে প্রায় ২ মিটার চওড়া সীমানা প্রাচীর, বিশেষ পথ এবং মূল্যবান প্রত্ন বস্তু উন্মোচিত হয়েছে। আশপাশের এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রত্ন তত্ত্বের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে তাদের প্রত্ন মনস্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকায় লালমাই ময়নামতি পাহাড় শ্রেণির সর্ব উত্তরের বিচ্ছিন্ন পাহাড়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে রানী ময়নামতির প্রাসাদটি অবস্থিত। ১০ একর আয়তনের এ প্রত্নস্থলটি লালমাই-ময়নামতি এলাকার অন্যান্য পুরাকীর্তির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে খননে এখানে ৫১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫শ’ ফুট আয়তনের বেষ্টনী প্রাচীর এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় ক্রশাকার মন্দিরসহ ৪টি নির্মাণ যুগের স্থাপত্য নিদর্শন উন্মোচিত হয়। এছাড়া ৪টি বসতি স্তরে পোড়ামাটির ফলক, মূল্যবান প্রত্নবস্তু ও মাটির পাত্র ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়। প্রত্নস্থলের উত্তর-পশ্চিম অংশে সীমিত আকারে খনন করা হয়। ফলে এ স্থান সম্পর্কে প্রত্ন অনুসন্ধিৎসুকদের মধ্যে একটি কৌতুহল থাকায় এই পুরাকীর্তির উত্তর-পশ্চিমে উঁচু ঢিবিতে কোন স্থাপনা আছে কি-না তা পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৬-’১৭ অর্থ বছর থেকে পুনরায় খনন শুরু হয়ে ২০১৭-’১৮ অর্থ বছরেও সেই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়। গত বছরের ১২ই নভেম্বর হতে মাঠ পর্যায়ে খনন কাজ শুরু করা হয় এবং চলতি বছরের গত ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। রাণী ময়নামতি প্রাসাদ এলাকায় সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উন্মোচিত স্থাপনা ও আবিস্কৃত প্রত্নবস্তুর অনসাইট প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। এতে ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, এ বছর রাণী ময়নামতি প্রাসাদ খননে পশ্চিম দিকে প্রায় ২ মিটার চওড়া সীমানা প্রাচীর, বিশেষ পথ এবং মূল্যবান প্রত্ন বস্তু উন্মোচিত হয়েছে। আশপাশের এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রত্ন তত্ত্বের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে তাদের প্রত্ন মনস্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।