প্রথম পাতা
রায়ের কপি এখনো মেলেনি
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার ১১ দিন পরও রায়ের সার্টিফায়েড কপি (প্রত্যায়িত অনুলিপি) পাননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তবে, আজ রায়ের অনুলিপি পাওয়া যেতে পারে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তারা। গতকাল এ তথ্য জানান তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার রায়ের অনুলিপি পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। তবে, ওই দিন বিকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তাদের জানিয়েছেন মূল রায়ের সঙ্গে রায়ের অনুলিপি মিলিয়ে দেখতে সময় লাগছে। যে কারণে রায়ের অনুলিপি প্রস্তুত হয়নি। রোববার (গতকাল) অথবা সোমবার (আজ) রায়ের অনুলিপি তাদের দিয়ে দেয়া হবে। গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, রায়ের অনুলিপির কাজ পুরো শেষ না হওয়ায় সোমবার তা দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তাদের জানানো হয়েছে। খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া গতকাল বিকালে জানান, আজ (গতকাল) রায়ের অনুলিপি দেয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট আদালতে যোগাযোগ করা হলে আমাদের জানানো হয়েছে রায়ের অনুলিপি প্রস্তুত না হওয়ায় তা দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। সোমবার রায়ের অনুলিপি দেয়া হবে বলে আদালত থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, রায়ের অনুলিপি নিয়ে আমরা ধূম্রজালের মধ্যে আছি। রায়ের অনুলিপি না পেলে আমরা হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিনের আবেদন করতে পারছি না। তিনি জানান, আজ রায়ের কপি পেলে আগামীকালই হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিনের আবেদন করা হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোকাররম হোসেন গতকাল বিকালে জানান, আজ রায়ের অনুলিপি দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পুরো প্রস্তুত না হওয়ায় সোমবার (আজ) দেয়া হবে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন (গত ৮ই ফেব্রুয়ারি) রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য মৌখিক আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে ১১ই ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে রায়ের কপির জন্য লিখিত অবেদন করেন তারা। এ মামলার ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের জন্য ১২ই ফেব্রুয়ারি তিন হাজার ফলিও কপি আদালতে দাখিল করেন খালেদার আইনজীবীরা। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে এ মামলার আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ জনের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও খালেদা জিয়ার সামাজিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ের পরই খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত কারাবন্দি হিসেবে রয়েছেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন (গত ৮ই ফেব্রুয়ারি) রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য মৌখিক আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে ১১ই ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে রায়ের কপির জন্য লিখিত অবেদন করেন তারা। এ মামলার ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের জন্য ১২ই ফেব্রুয়ারি তিন হাজার ফলিও কপি আদালতে দাখিল করেন খালেদার আইনজীবীরা। গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে এ মামলার আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ জনের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও খালেদা জিয়ার সামাজিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ের পরই খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত কারাবন্দি হিসেবে রয়েছেন।