প্রথম পাতা
বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের প্রত্যাশা জাতিসংঘের
মানবজমিন ডেস্ক
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে জাতিসংঘ
। একই সঙ্গে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে তারা। এমন একটি নির্বাচনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে জাতিসংঘ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। শুক্রবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছি। তবে তার পরের বাক্যটি স্পষ্ট বোঝা যায়নি। কারণ, দুটি স্থানে দুটি বা ততোধিক শব্দ উহ্য ছিল। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো ‘দ্য...লাইক ইন এনি কান্ট্রি, এ...দিস ইজ আওয়ার প্রিন্সিপাল পজিশন’। এখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইস্যুতে তার প্রশ্নোত্তর হুবহু তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: মিস্টার স্টিফেন, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি জানেন, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। বার্তা সংস্থা এএফপি ও অন্যান্য মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ তার মুক্তি দাবি করছেন। মিডিয়ার রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে অযোগ্য করতেই খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা। এরই মধ্যে খালেদা জিয়া সম্পর্কে আপডেট জানতে তার দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেটরা, যুক্তরাষ্ট্রের ও অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর কূটনীতিকরা। যেহেতু খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা মোকাবিলা করছেন এর পরিপ্রেক্ষিতে তার মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?
উত্তর: আমি মনে করি, আপনারা জানেন, আমরা বলেছি পরিস্থিতির দিকে আমরা ঘনিষ্ঠ দৃষ্টি রাখছি। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমাদের মূলনীতি হলো এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রাসঙ্গিকভাবেই ওই ব্রিফিংয়ে উঠে আসে রোহিঙ্গা সঙ্কট। এ নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন স্টিফেন ডুজাররিক। একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আমার প্রশ্ন। রোহিঙ্গাদের অনেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন কোনো উপায় কি আছে, যার অধীনে তাদেরকে মিয়ানমারে পাঠানো যাবে? কারণ, হলো রোহিঙ্গারা মনে করেন তাদেরকে মিয়ানমার আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে না। সেখানকার বিষয়ে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিউর বলেছেন, সীমান্তে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ ঘটানো হয়েছে। বহু রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। তাই আদৌও কি তাদের ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
উত্তরে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, ভাল প্রশ্ন। আপনারা জানেন, এখনও পরিস্থিতি উপযোগী নয়। ফলে এর সম্ভাব্যতা সম্পর্কে আপনারা জানেন। সম্প্রতি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয় নি। প্রত্যাবর্তন হতে হবে স্বেচ্ছায়। বিদ্যমান আইনের আওতায় তা হতে হবে। জনগণের উদ্বেগ বা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের অবহিত থাকার বিষয়ে সম্মান জানাতে হবে। তারা কোথায় ফিরে যেতে চায় সেটা তাদেরকে বেছে নিতে দিতে হবে। যে বাড়ি ফেলে এসেছে তাদের সেখানে ফিরে যাওয়ার সক্ষমতা দিতে হবে। তাদের কোনো ক্যাম্প বা আশ্রয় শিবিরে পাঠানো উচিত হবে না। তাদের অবশ্যই সেই বাড়িতে যেতে দিতে হবে, যা তারা ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাই শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার মনে করছেন এসব শর্ত এখনও পূর্ণ কর হয় নি। তারপরও জোরালোভাবে বলতে হয়, যেকোনো প্রত্যাবর্তন হতে হবে স্বেচ্ছায়। সেখানে কোনো শক্তি প্রয়োগ করা উচিত নয়।
। একই সঙ্গে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে তারা। এমন একটি নির্বাচনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছে জাতিসংঘ। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে এ কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক। শুক্রবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছি। তবে তার পরের বাক্যটি স্পষ্ট বোঝা যায়নি। কারণ, দুটি স্থানে দুটি বা ততোধিক শব্দ উহ্য ছিল। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো ‘দ্য...লাইক ইন এনি কান্ট্রি, এ...দিস ইজ আওয়ার প্রিন্সিপাল পজিশন’। এখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইস্যুতে তার প্রশ্নোত্তর হুবহু তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: মিস্টার স্টিফেন, আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি জানেন, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন জেলে। বার্তা সংস্থা এএফপি ও অন্যান্য মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ তার মুক্তি দাবি করছেন। মিডিয়ার রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে অযোগ্য করতেই খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা। এরই মধ্যে খালেদা জিয়া সম্পর্কে আপডেট জানতে তার দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেটরা, যুক্তরাষ্ট্রের ও অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর কূটনীতিকরা। যেহেতু খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা মোকাবিলা করছেন এর পরিপ্রেক্ষিতে তার মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?
উত্তর: আমি মনে করি, আপনারা জানেন, আমরা বলেছি পরিস্থিতির দিকে আমরা ঘনিষ্ঠ দৃষ্টি রাখছি। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমাদের মূলনীতি হলো এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রাসঙ্গিকভাবেই ওই ব্রিফিংয়ে উঠে আসে রোহিঙ্গা সঙ্কট। এ নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন স্টিফেন ডুজাররিক। একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আমার প্রশ্ন। রোহিঙ্গাদের অনেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন কোনো উপায় কি আছে, যার অধীনে তাদেরকে মিয়ানমারে পাঠানো যাবে? কারণ, হলো রোহিঙ্গারা মনে করেন তাদেরকে মিয়ানমার আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে না। সেখানকার বিষয়ে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিউর বলেছেন, সীমান্তে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ ঘটানো হয়েছে। বহু রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। তাই আদৌও কি তাদের ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
উত্তরে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, ভাল প্রশ্ন। আপনারা জানেন, এখনও পরিস্থিতি উপযোগী নয়। ফলে এর সম্ভাব্যতা সম্পর্কে আপনারা জানেন। সম্প্রতি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতি এখনও সৃষ্টি হয় নি। প্রত্যাবর্তন হতে হবে স্বেচ্ছায়। বিদ্যমান আইনের আওতায় তা হতে হবে। জনগণের উদ্বেগ বা পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের অবহিত থাকার বিষয়ে সম্মান জানাতে হবে। তারা কোথায় ফিরে যেতে চায় সেটা তাদেরকে বেছে নিতে দিতে হবে। যে বাড়ি ফেলে এসেছে তাদের সেখানে ফিরে যাওয়ার সক্ষমতা দিতে হবে। তাদের কোনো ক্যাম্প বা আশ্রয় শিবিরে পাঠানো উচিত হবে না। তাদের অবশ্যই সেই বাড়িতে যেতে দিতে হবে, যা তারা ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাই শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের হাই কমিশনার মনে করছেন এসব শর্ত এখনও পূর্ণ কর হয় নি। তারপরও জোরালোভাবে বলতে হয়, যেকোনো প্রত্যাবর্তন হতে হবে স্বেচ্ছায়। সেখানে কোনো শক্তি প্রয়োগ করা উচিত নয়।