সিলেটের উইকেট নিয়ে রহস্য

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কিউরেটর নুরুজ্জমান নয়ন ছুটে বেড়াচ্ছেন উইকেটের এপাশ থেকে ওপাশ। যত বারই তিনি সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হচ্ছেন, প্রশ্ন একটাই- ‘উইকেট কেমন হবে?’ এ প্রশ্ন শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টেরও। কিন্তু মুখে যেন কুলুপ এঁটেছেন কিউরেটর। শুধু বলেন, ‘তিন ও চার নম্বর উইকেট তৈরি আছে। দেখি কোন্‌টাতে খেলা হয়।’ ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ মিশন। আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ ক্রিকেট যুদ্ধ। এ সফরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনার কেন্দ্র-বিন্দুতে উইকেট আর চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশে থাকলেও এ স্টেডিয়ামে আসা হয়নি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার কোচ হাথুরুর। এমন কি এখন পর্যন্ত এ মাঠে খেলা হয়নি বাংলাদেশ দলেরও।
সিলেট স্টেডিয়াম দেখে অবশ্য মুগ্ধতাই প্রকাশ করেছেন হাথুরুসিংহে। তবে উইকেট নিয়ে চিন্তার কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম এই মাঠ দেখছি। উইকেট এখনো শতভাগ প্রস্তুত নয়। আগামীকাল (আজ) এসে দেখতে হবে উইকেট কেমন হয়। আজকে তাই উইকেট নিয়ে বেশি বলতে পারছি না। তবে মাঠটি খুবই সুন্দর। আমি বিস্মিত যে বাংলাদেশে সাড়ে তিন বছর থাকার সময় এখানে আসা হয়নি আমার।’
শেষ ম্যাচে উইকেট কেমন হবে? কোন্‌ উইকেটে খেলা হবে তা নিয়ে শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে চিন্তা বাংলাদেশ শিবিরেও। গতকাল লঙ্কান কোচ মাঠ ছাড়ার আগে কিউরেটরকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে উইকেট নিয়ে নানা প্রশ্ন করেছেন। শুক্রবার বিকালেই উইকেট দেখে গেছেন বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল। তবে সেদিন উইকেটে ঘাস দেখা গেলেও গতকাল তা দেখা যায়নি। তাই এ উইকেট পেস সহায়ক হবে না স্পিনবান্ধব হবে তা কাল পর্যন্ত ছিল অনিশ্চিত। অবশ্য বাংলাদেশ দল উইকেট নিজেদের মতো করে চাইছে কিনা তা জানা যায়নি। কিন্তু নিজেদের পছন্দ মতো উইকেট পেলেও ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম তিন জয় ও একটি টেস্ট ড্র করা ছাড়া বাকিগুলো শেষ হয়েছে হারে। ব্যাটিং উইকেট, এমনকি নিজেদের চিরচেনা পেস বা স্পিনবান্ধব উইকেটেও খাবি খেতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলকে। মিরপুরের টেস্টে স্পিনবান্ধব উইকেটে হারের পর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে রেকর্ড রান করেও প্রথম টি-২০তে হেরেছে বাংলাদেশ দল। তবে সিলেটেও ধারণা করা হচ্ছে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটই হবে।
অন্যদিকে শুধু উইকেট নিয়েই নয়, অনুশীলনের সুবিধা নিয়েও লঙ্কান কোচের আছে অভিযোগ। তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশ সুবিধা নিলেও অতিথিদের সুবিধা একটু কমই দিয়েছে। যেমন গতকাল টাইগাররা সিলেট স্টেডিয়ামে বিকালে অনুশীলনের সুযোগ পেলেও লঙ্কানরা পেয়েছে সকালে। এ নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘মিরপুরে তারা (বাংলাদেশ) সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছে কিন্তু আমরা সেটা পাইনি। এমনকি তারা ফ্লাড লাইটের আলোতে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে তারা। কিন্তু আজ (কাল) আমরা সকালে এসেছি।’