এক্সক্লুসিভ

টকশো থেকে

‘খালেদার রায়ের দিন সরকার কোনো দানবীয় শক্তি প্রদর্শন করেনি’

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন

সম্প্রতি বেসরকারি চ্যানেল এটিএন বাংলার একটি টকশোতে অংশ নেন আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম, জনসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী এবং সাবেক উপ-কারাপরিদর্শক মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন জ ই মামুন।
অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে নানা প্রশ্ন রাখা হয়। প্রথমটি হচ্ছে খালেদাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটি একটি পরিত্যক্ত কারাগার। তার ব্যক্তিগত অবস্থানের কথা বাদ দিলেও- একজন বন্দিকে পরিত্যক্ত কারাগারে কেন নেয়া হবে? তার ওপর, তিনি কি সুবিধা পাচ্ছেন আর কি পাচ্ছেন না সেটি নিয়েও অনেক বিতর্ক দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, এই সিদ্ধান্তটি প্রশাসনিক। এখানে কারাবিভাগের করণীয় কোনো কিছু নেই। তবে আমি যতটুকু জানি, ওনার (খালেদা) ব্যক্তিগত নিরাপত্তার এবং অসুস্থতার কথা বিবেচনায় রেখেই ওনাকে দূরের কোনো কারাগারে নেয়া হয়নি। সার্বিক বিবেচনায় প্রশাসন নিজ কাজের সুবিধার্থে তাকে ওখানে রেখেছে। আমার মনে হয় না এতে তার কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হবে। কারাকর্তৃপক্ষ তাকে ভালো রাখতে যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছে। তবে এ ব্যাপারে আমিও একমত যে এরচেয়ে ভালো জায়গায় তাকে রাখা যেত।
বেগম জিয়াকে যে কারাদণ্ড দেয়া হলো এর ওভারঅল ইমপ্লিকেশন কি তা জানতে চাওয়া হয় জোনায়েদ সাকীর কাছে। তিনি বলেন, ইমপ্লিকেশন কি সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে এর ইঙ্গিতগুলো আমরা বুঝতে চেষ্টা করতে পারি। প্রথমে দেখতে হবে মানুষ কি চিন্তা করছে। বিএনপি’র দাবি তিনি নির্দোষ। বেগম জিয়া এবং তার আইনজীবীরাও সেটা দাবি করছেন। দুদকের আইনজীবীরা বলছেন তিনি দোষী। সরকার থেকেই তাই বলা হচ্ছে। এবং শেষ পর্যন্ত নিম্ন আদালত একটা রায় দিয়েছেন। সাধারণভাবে যেটা আমরা বুঝি, মামলাটি এখনো বিচারাধীন। আপিলে যাওয়া হবে। তিনি কনভিক্টেড হয়েছেন। আমার মনে হয় উচ্চ আদালত আপিল গ্রহণ করলে হয়তো কনভিকশন থেকে যাবে, কিন্তু রায় কার্যকর যদি স্থগিত হয়ে যায়- তার মানে দাঁড়াবে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিচারের মীমাংসা চূড়ান্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তার বাকি অধিকারগুলো পাবেন। তার মধ্যে আছে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, নির্বাচন ইত্যাদি। এছাড়াও আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ এই মামলার রায় বাস্তবায়নে দানবীয় শক্তির প্রদর্শন করেছে। এই মামলা ২০০৭-০৮ সালের। সে সময় হাসিনার বিরুদ্ধেও মামলা হয়। এখন একজন (হাসিনা) ক্ষমতায় আসায় তার বিরুদ্ধের মামলাগুলো কোয়াশমেন্ট হয়ে গেছে, আরেকজনের (খালেদা) টা হচ্ছে না- এর মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের ইঙ্গিত আছে। এ সময় শ ম রেজাউল করিম বলেন, খালেদার রায় হওয়ার দিন সরকার কোনো দানবীয় শক্তির প্রদর্শন করেনি। খালেদা জিয়া একজন বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার বিচার হচ্ছে। তার কর্মীরা রাস্তায় ভাঙচুর করতে পারেন, ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা প্রভোকেটিভ মিসার বা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর বাইরে আলাদা কিছু হয়নি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status