এক্সক্লুসিভ
ভালোবাসা দিবসে ৩ তরুণের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
তারুণ্য ডেস্ক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
ভালোবাসার এত রূপ! আর সব রূপ যেন ঝলসে উঠল ফুলে ফুলে। হাজারও ফুল। তাতে কত রং! আর সব রং যেন মিশেছে ভালোবাসা আর ভালোবাসায়। ভালোবাসা কোনো দিবস বা সময়-ক্ষন গুনে আসে না। যদিও প্রেম-ভালোবাসার নির্মল আনন্দে এ দিবসে মেতে উঠে তরুণ-তরুণীরা। তবে, এবারের বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ব্যতিক্রমভাবে পালন করে তানভীর-তপু-রুবেল নামে তিন তরুণ। তারা আগ থেকেই প্রস্তুত। সিরিঞ্জ নিয়ে প্যাথোলোজিস্টও রেডি। ঘড়ির কাঁটা যখন ঠিক ১২টা। এক সঙ্গে তিন জনের শিরায় ঢুকে সিরিজের সুই। দ্রুত ব্লাড চলে যায় মুমূর্ষু মায়ের জীবন বাঁচাতে। এ যাত্রায় বেঁচে যায় ক্যানসার আক্রান্ত শামেলা। মঙ্গলবার মুমূর্ষু শামেলা ভর্তি হয় মিটফোর্ড হাসপাতালে। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে ডাক্তার জানান, জীবন বাঁচাতে তিন ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তের ব্যবস্থা করেন। অন্যথায় বাঁচানো যাবে না তার জীবন। ডাক্তারের এমন কথায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা মেয়ে সাহেদার। রক্তের খোঁজ করে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছে। কোথাও মিলে না এক ব্যাগ রক্ত। অবশেষে সাহেদার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সন্ধান মেলে তানভীর-তপু-রুবেল নামে তিন তরুণের। জানা যায়, ওরাও ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে বদ্ধপরিকর। তাদের রক্তে মানুষের জীবন বাঁচবে। কথা হয় তিন জনের সঙ্গে। তানভীর বলেন, এ নিয়ে তিন বার রক্ত দিয়েছি। তবে ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে রক্তদান করতে পেরে তিনি খুব আনন্দিত। একজন মায়ের জীবন বাঁচাতে পেরে নিজের ভেতর এক আত্মতৃপ্তি কাজ করে তার। তানভীর তিন বার রক্ত দিলেও তপু ও রুবেল এখনো কাউকে রক্ত দেয়নি। এদের মধ্যে তপু একজন। তপুর জন্ম বাংলাদেশে হলেও বাস করেন দিল্লিতে। এদেশে বেড়াতে এসেছেন। ভালোবাসার টানে বছরে একবার হলেও তপু দেশে আসেন। দিল্লিতে থাকলেও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চায় তপু। তাইতো তপু রক্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও ছুটে যায় মানবের জীবন বাঁচাতে।
তপুর মতো রুবেলও মিটফোর্ড হাসপাতালে চলে আসে মুমূর্ষু শামেলার জীবন বাঁচাতে। রুবেলের প্রবল ইচ্ছা তার রক্ত বইবে মানবের শিরায়। হাসি ফুটবে পরিবারের মুখে। যেই ইচ্ছা সেই কাজ। হঠাৎ করেই বন্ধু মাসুমের ফোনে আসে কাঙ্ক্ষিত সেই মেসেজ। শোনামাত্র মাকে না জানিয়েই রুবেল রক্ত দানে চলে আসে হাসপাতালে। রুবেল বলেন, অনেক আগ থেকেই রক্ত দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সুযোগ পাচ্ছিলাম না। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই সুযোগ আসে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে।
তপুর মতো রুবেলও মিটফোর্ড হাসপাতালে চলে আসে মুমূর্ষু শামেলার জীবন বাঁচাতে। রুবেলের প্রবল ইচ্ছা তার রক্ত বইবে মানবের শিরায়। হাসি ফুটবে পরিবারের মুখে। যেই ইচ্ছা সেই কাজ। হঠাৎ করেই বন্ধু মাসুমের ফোনে আসে কাঙ্ক্ষিত সেই মেসেজ। শোনামাত্র মাকে না জানিয়েই রুবেল রক্ত দানে চলে আসে হাসপাতালে। রুবেল বলেন, অনেক আগ থেকেই রক্ত দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু সুযোগ পাচ্ছিলাম না। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই সুযোগ আসে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রথম প্রহরে।