শরীর ও মন
যেসব কারণে বাড়বে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি
অনলাইন ডেস্ক
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
মরণব্যাধি ক্যানসারের মধ্যে নারীদের ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসার গতকয়েক বছরে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। প্রতিবছর যেসব মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার মধ্যে ফুসফুস ক্যানসার অন্যতম। আর এরপরেই স্তন ক্যানসারের অবস্থান ।
আসুন জেনে নিই ব্রেস্ট ক্যানসার কিভাবে সৃষ্টি হয় :
যখন স্তনের টিস্যুগুলো পরিবর্তন হতে শুরু করে এবং পুনরুৎপাদনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে, তখনই স্তন ক্যানসার সৃষ্টি হয়। এই অস্বাভাবিকভাবে বর্ধিত এই টিস্যুগুলো সাধারনত মিলিত হয়ে টিউমার গঠন করে। আর টিউমারটি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যখন এই অস্বাভাবিক কোষগুলো স্তনের অন্য অংশে আক্রমন করে অথবা লসিকানালী বা রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্তন ক্যানসারের কারণ :
স্তন কোষের ডিএনএ এর জনগত পরিবর্তনের ফলে স্তন ক্যানসার সৃষ্টি হয়। তবে এই পরিবর্তন কিভাবে এবং কেন সংগঠিত হয়, সেটি পুরোপুরি বোধগম্য নয়। বেশিরভাগ স্তন ক্যানসার সৃষ্টি হয় যখন নারীরা পঞ্চাশোর্ধ্ব হয়ে যান। তবে এটা পরিষ্কার নয় কেন কিছু নারী এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন আর কিছু নারী হন না। তবে স্তন ক্যানসারের কিছু ঝুঁকির কারণ দেয়া হল-
(১) যেসব নারীরা চল্লিশের কোঠায় পদার্পণ করছেন বা করেছেন, তাদের স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতন হওয়াটা জরুরি। কেননা ৪০-৭০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন।
(২) রক্তের স¤পর্কের কোনো নিকট আত্মীয় যদি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত থাকেন তাহলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আর যদি কোনো নারীর মা, বোন অথবা মেয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ থাকে।
(৩) দশ শতাংশের বেশি নারী বংশানুক্রমে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও বিআরসিএ১ এবং বিআরসিএ২ জিনের ত্রুটির কারণেও স্তন ক্যানসার হয়ে থাকে। তবে তার মানে এই নয় যে, এই জিনের কারণে আপনার স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। তবে এর ফলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
(৪) এশিয়া, ¯প্যানিশ এবং আফ্রিকান-আমেরিকান নারীদের তুলনায় শেতাঙ্গ নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। তবে আফ্রিকান-আমেরিকান নারীরা উঠতি বয়সে বেশি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আর আমেরিকান নারীরা বেশি আক্রান্ত হলেও তাদের মৃত্যুহার তুলনামূলক কম।
(৫) যেসব নারীদের বারো বছরের আগে পিরিয়ড শুরু হয় এবং পঞ্চান্ন বছরের পরেও পিরিয়ড চলমান থাকে তারা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পরেন। বিজ্ঞানীরা মনে করেন তাদের দীর্ঘ সময় ধরে হরমোন নিঃসরণ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
(৬) অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় নারীরা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও এর কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখা নেই। তবে ধারণা করা হয় চর্বি পিরিয়ড পরবর্তী সময়ে তাদের শরীরে অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদন করে। যার ফলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
(৭) যেসব নারী অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় পান করেন তারা নিজেদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেন।
(৮) সন্তানহীন নারী কিংবা ত্রিশ বছরের পরে প্রথম সন্তান দানকারীরা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথ’-এর অবলম্বনে লিখেছেন প্রিয়াংকা চক্রবর্ত্তী
আসুন জেনে নিই ব্রেস্ট ক্যানসার কিভাবে সৃষ্টি হয় :
যখন স্তনের টিস্যুগুলো পরিবর্তন হতে শুরু করে এবং পুনরুৎপাদনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখে, তখনই স্তন ক্যানসার সৃষ্টি হয়। এই অস্বাভাবিকভাবে বর্ধিত এই টিস্যুগুলো সাধারনত মিলিত হয়ে টিউমার গঠন করে। আর টিউমারটি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যখন এই অস্বাভাবিক কোষগুলো স্তনের অন্য অংশে আক্রমন করে অথবা লসিকানালী বা রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
স্তন ক্যানসারের কারণ :
স্তন কোষের ডিএনএ এর জনগত পরিবর্তনের ফলে স্তন ক্যানসার সৃষ্টি হয়। তবে এই পরিবর্তন কিভাবে এবং কেন সংগঠিত হয়, সেটি পুরোপুরি বোধগম্য নয়। বেশিরভাগ স্তন ক্যানসার সৃষ্টি হয় যখন নারীরা পঞ্চাশোর্ধ্ব হয়ে যান। তবে এটা পরিষ্কার নয় কেন কিছু নারী এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন আর কিছু নারী হন না। তবে স্তন ক্যানসারের কিছু ঝুঁকির কারণ দেয়া হল-
(১) যেসব নারীরা চল্লিশের কোঠায় পদার্পণ করছেন বা করেছেন, তাদের স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতন হওয়াটা জরুরি। কেননা ৪০-৭০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন।
(২) রক্তের স¤পর্কের কোনো নিকট আত্মীয় যদি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত থাকেন তাহলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আর যদি কোনো নারীর মা, বোন অথবা মেয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ থাকে।
(৩) দশ শতাংশের বেশি নারী বংশানুক্রমে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও বিআরসিএ১ এবং বিআরসিএ২ জিনের ত্রুটির কারণেও স্তন ক্যানসার হয়ে থাকে। তবে তার মানে এই নয় যে, এই জিনের কারণে আপনার স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। তবে এর ফলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
(৪) এশিয়া, ¯প্যানিশ এবং আফ্রিকান-আমেরিকান নারীদের তুলনায় শেতাঙ্গ নারীদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কিছুটা বেশি থাকে। তবে আফ্রিকান-আমেরিকান নারীরা উঠতি বয়সে বেশি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আর আমেরিকান নারীরা বেশি আক্রান্ত হলেও তাদের মৃত্যুহার তুলনামূলক কম।
(৫) যেসব নারীদের বারো বছরের আগে পিরিয়ড শুরু হয় এবং পঞ্চান্ন বছরের পরেও পিরিয়ড চলমান থাকে তারা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পরেন। বিজ্ঞানীরা মনে করেন তাদের দীর্ঘ সময় ধরে হরমোন নিঃসরণ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
(৬) অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায় নারীরা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও এর কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখা নেই। তবে ধারণা করা হয় চর্বি পিরিয়ড পরবর্তী সময়ে তাদের শরীরে অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদন করে। যার ফলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
(৭) যেসব নারী অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় পান করেন তারা নিজেদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেন।
(৮) সন্তানহীন নারী কিংবা ত্রিশ বছরের পরে প্রথম সন্তান দানকারীরা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকেন।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘হেলথ’-এর অবলম্বনে লিখেছেন প্রিয়াংকা চক্রবর্ত্তী