বিশ্বজমিন
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে জাতিসংঘের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
মানবজমিন ডেস্ক
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে জাতি নিধন অভিযান চালানোর কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিজের দেশে এই ভয়াবহতা সংঘটিত হয়েছে এটা স্বীকার করে নিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির ওপর চাপ সৃষ্টি করতেও আহ্বান জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। মঙ্গলবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, রাখাইনে জাতি নিধনের অভিযোগ বেমালুম প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে মিয়ানমার সরকারের ভিতরকার শক্তিশালী শক্তি। কি মাত্রায় নৃশংসতা হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করতে পারে এমন কাউকে বা কোনো সংগঠন, এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে তারা রাখাইনে প্রবেশের সুবিধা দিচ্ছে না। এ সময় সেখানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঁসোয়া ডেলোট্রি। তিনি বলেন, বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে গণহত্যার বিষয়ে যে রিপোর্ট উপস্থাপনা করেছে তাতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। এখানে উল্লেখ্য, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিতে গেলেই সেখানে চলে আসে ভেটো ক্ষমতা। স্থায়ী পরিষদের দু’ সদস্য দেশ রাশিয়া ও চীন। তাদের সঙ্গে মিয়ানমার ভীষণ দহরম মহরম সম্পর্ক তৈরি করেছে। ফলে এর আগেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থার প্রস্তাব ওঠে ভোটে। সেখানে ভেটো দেয়ায় তা বানচাল হয়ে যায়। আবার যে তারা এই ভেটো দেবে না তা বলা যায় না। কারণ, রয়টার্সের রিপোর্টের পর মঙ্গলবার রাশিয়া ও চীন উভয় দেশই রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বর্ণনা করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত দমিত্রি পোলিয়ানস্কি সতর্ক করে বলেছেন, মিডিয়ার বিতর্কিত ও উদ্দেশ্যমূলক রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা ও তাদের নিন্দা জানানোর ফলে সমস্যা সমাধান করা থেকে তাদেরকে দূরে সরিয়ে দেয়া হয়।