দেশ বিদেশ
চট্টগ্রামে বিদ্যুতের টাওয়ারের উপর পাগলের বিলাপ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
যেমন তেমন কথা নয়, একলাখ ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের টাওয়ারের মাথার উপর উঠে চলছে এক পাগলের বিলাপ। তার মুখে শুধু একটাই কথা- ওরা আমার মা’কে গলাটিপে মেরে ফেলেছে। এ কথা বলে সে কপাল চাপড়ায়। চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।
যা স্থানীয় লোকজনের হৃদয় ভেদ করে। তাকে দেখার জন্য টাওয়ারের নিচে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে। যারা প্রাণপণ চেষ্টা করেও নামাতে পারেনি ওই মানসিক রোগীকে। শেষ পর্যন্ত খবর দেয় থানায় এবং ফায়ার সার্ভিস অফিসে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ ফকির মসজিদ এলাকায় সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে শেষ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে নানা কৌশলে ওই পাগলকে বিদ্যুতের টাওয়ারের উপর থেকে নামিয়ে আনেন। আর বেহুঁশ অবস্থায় তাকে ভর্তি করান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সোমবার বিকালে অজ্ঞাতনামা ওই লোককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন। তারাই লোকটি মানসিক রোগী বলে জানান। বর্তমানে তার হুঁশ ফিরলেও সে নাম-পরিচয় বলতে পারছে না। ফলে তার বাড়ি কোথায় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর বলে জানান তিনি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী আকবর জানান, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে খবর পেয়ে কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ৮ নং ওয়ার্ডের ফকির মসজিদ এলাকায় ছুটে যায়। গিয়ে দেখি মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে ১,৩৩,০০০ ভোল্টের প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতার একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারে মাথায় বসে বিলাপ করছে ওই পাগল। তিনি বলেন, তাকে দেখে আমি প্রথমে ভয়ে কেঁপে উঠি। কারণ বিদ্যুতের টাওয়ারটি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন। এই লাইনের প্রতিটি তার খোলা। আর লাইনের এত তেজ যে ২০ ফুট দূরের প্রাণীকেও ঝলসে দিতে পারে। কিন্তু ওই পাগল তারের সঙ্গে লেগেও কিভাবে ওখানে বেঁচে আছেন। ওখানে সে উঠলই বা কি করে।
পরে নিজেকে সামলে নিয়ে কথা বললাম ওই পাগলের সঙ্গে। সে বললো ওরা আমার মা’কে গলাটিপে মেরে ফেলেছে। এ কথা বলে কপাল চাপড়াচ্ছে। আর কাঁদছে। হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বুঝতে পারলাম তার মধ্যে মায়ের মৃত্যুর শক লেগেছে। এরমধ্যে তাকে বাঁচাতে টাওয়ারে উঠার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে অনুরোধ করা হলেও পিডিবি তা সম্ভব নয় বলে জানান। ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে টাওয়ারের নিচে জড়ো হওয়া হাজার হাজার উৎসুক মানুষকে পুলিশের সহায়তায় সরিয়ে নিই। পাশের গ্রাম থেকে আধা বয়সী এক নারীকে টাওয়ারের নিচে ঘোমটা দিয়ে এনে তার মা এসেছে বলি। তখন সে সত্যিই মা এসেছে এ কথা বলে টাওয়ারের নিচের ফটকে নেমে আসে। এরপর নামতে না চাইলে তাকে উঠে ধরে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে সে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। যা তদারকি করছে ফায়ার সার্ভিস। মানসিক এই রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পেরে যারপরনাই খুশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আলী আকবর। তিনি বলেন, তার নাম-ঠিকানা পরিচয় না পেলেও সে একজন মানুষ। তার প্রাণ বাঁচানো গেছে এটাই আল্লাহ্র কাছে আমার শোকরিয়া এবং আমি সম্মানিত বোধ করছি। তিনি বলেন, লোকটি সম্পর্কে স্থানীয় অনেকের কাছে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে চিনে না, এ এলাকায় কখনো তাকে কেউ দেখেনি বলে জানান। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা বললেও সে তেমন ভালোভাবে বলতে পারছিল না। মনে হয়েছে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হতে পারে সে।
যা স্থানীয় লোকজনের হৃদয় ভেদ করে। তাকে দেখার জন্য টাওয়ারের নিচে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে। যারা প্রাণপণ চেষ্টা করেও নামাতে পারেনি ওই মানসিক রোগীকে। শেষ পর্যন্ত খবর দেয় থানায় এবং ফায়ার সার্ভিস অফিসে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ ফকির মসজিদ এলাকায় সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে শেষ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে নানা কৌশলে ওই পাগলকে বিদ্যুতের টাওয়ারের উপর থেকে নামিয়ে আনেন। আর বেহুঁশ অবস্থায় তাকে ভর্তি করান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সোমবার বিকালে অজ্ঞাতনামা ওই লোককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন। তারাই লোকটি মানসিক রোগী বলে জানান। বর্তমানে তার হুঁশ ফিরলেও সে নাম-পরিচয় বলতে পারছে না। ফলে তার বাড়ি কোথায় জানা যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর বলে জানান তিনি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী আকবর জানান, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে খবর পেয়ে কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ৮ নং ওয়ার্ডের ফকির মসজিদ এলাকায় ছুটে যায়। গিয়ে দেখি মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে ১,৩৩,০০০ ভোল্টের প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতার একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারে মাথায় বসে বিলাপ করছে ওই পাগল। তিনি বলেন, তাকে দেখে আমি প্রথমে ভয়ে কেঁপে উঠি। কারণ বিদ্যুতের টাওয়ারটি জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন। এই লাইনের প্রতিটি তার খোলা। আর লাইনের এত তেজ যে ২০ ফুট দূরের প্রাণীকেও ঝলসে দিতে পারে। কিন্তু ওই পাগল তারের সঙ্গে লেগেও কিভাবে ওখানে বেঁচে আছেন। ওখানে সে উঠলই বা কি করে।
পরে নিজেকে সামলে নিয়ে কথা বললাম ওই পাগলের সঙ্গে। সে বললো ওরা আমার মা’কে গলাটিপে মেরে ফেলেছে। এ কথা বলে কপাল চাপড়াচ্ছে। আর কাঁদছে। হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বুঝতে পারলাম তার মধ্যে মায়ের মৃত্যুর শক লেগেছে। এরমধ্যে তাকে বাঁচাতে টাওয়ারে উঠার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে অনুরোধ করা হলেও পিডিবি তা সম্ভব নয় বলে জানান। ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে টাওয়ারের নিচে জড়ো হওয়া হাজার হাজার উৎসুক মানুষকে পুলিশের সহায়তায় সরিয়ে নিই। পাশের গ্রাম থেকে আধা বয়সী এক নারীকে টাওয়ারের নিচে ঘোমটা দিয়ে এনে তার মা এসেছে বলি। তখন সে সত্যিই মা এসেছে এ কথা বলে টাওয়ারের নিচের ফটকে নেমে আসে। এরপর নামতে না চাইলে তাকে উঠে ধরে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে সে বেহুঁশ হয়ে পড়ে। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। যা তদারকি করছে ফায়ার সার্ভিস। মানসিক এই রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পেরে যারপরনাই খুশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আলী আকবর। তিনি বলেন, তার নাম-ঠিকানা পরিচয় না পেলেও সে একজন মানুষ। তার প্রাণ বাঁচানো গেছে এটাই আল্লাহ্র কাছে আমার শোকরিয়া এবং আমি সম্মানিত বোধ করছি। তিনি বলেন, লোকটি সম্পর্কে স্থানীয় অনেকের কাছে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে চিনে না, এ এলাকায় কখনো তাকে কেউ দেখেনি বলে জানান। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা বললেও সে তেমন ভালোভাবে বলতে পারছিল না। মনে হয়েছে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হতে পারে সে।