এক্সক্লুসিভ
চালককে হত্যা করে বাসে ডাকাতি, আহত ৫
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
সাভারে টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাসযাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতির কাজে বাধা দেয়ায় ডাকাতরা বাসের চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এ ছাড়াও ডাকাতদের হামলায় বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল ভোররাতে সাভারে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নিহত বাস চালকের নাম শাহজাহান মিয়া (৪০)। টাঙ্গাইল জেলার সদর থানাধীন চরজানা গ্রামে তার বাড়ি বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত বাসের হেলপার বাদশা মিয়া (৪২) একই জেলার সদর থানাধীন বিশ্বাস বেতকা গ্রামের মৃত ছানোয়ার মিয়ার ছেলে। আহত সুপারভাইজার শহিদুল খান একই জেলার নাগরপুর থানার পাছিতা গ্রামের মৃত ইবাদত খানের ছেলে। থানা পুলিশ জানায়, ইনসাফ পরিবহনের ধলেশ্বরী নামে একটি যাত্রীবাহী বাস সোমবার রাতে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা আসছিল। বাসটি নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের শ্রীপুর
এলাকায় পৌঁছলে বাসের ভেতর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় সকল যাত্রীকে সিটের সঙ্গে বেঁধে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় বাসের চালক শাহজাহান মিয়া বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং হেলপার ও সুপারভাইজারকেও গুরুতর আহত করে। পরে বাসটি মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন বলেন, সোমবার ভোররাতে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে ইনসাফ পরিবহনের ধলেশ্বরী (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৬৪৪৬) নামের বাসটি। পথে মির্জাপুর এলাকা থেকে যাত্রীবেশে ১৩ ডাকাত বাসে ওঠে। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাসের যাত্রীদের সবকিছু লুটে নেয়। বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা বাসের চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হেলপারকে ও সুপারভাইজরকে গুরুতর আহত করে বাসটি ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ডাকাতির বিষয়টি স্থানীয়রা থানায় জানালে ঘটনাস্থল থেকে বাসটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসের হেলপার বাদশা মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সুপারভাইজার শহিদুল খানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত বাস চালকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এলাকায় পৌঁছলে বাসের ভেতর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় সকল যাত্রীকে সিটের সঙ্গে বেঁধে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে। এ ঘটনায় বাসের চালক শাহজাহান মিয়া বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং হেলপার ও সুপারভাইজারকেও গুরুতর আহত করে। পরে বাসটি মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন বলেন, সোমবার ভোররাতে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে ইনসাফ পরিবহনের ধলেশ্বরী (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৬৪৪৬) নামের বাসটি। পথে মির্জাপুর এলাকা থেকে যাত্রীবেশে ১৩ ডাকাত বাসে ওঠে। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাসের যাত্রীদের সবকিছু লুটে নেয়। বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা বাসের চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে হেলপারকে ও সুপারভাইজরকে গুরুতর আহত করে বাসটি ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ডাকাতির বিষয়টি স্থানীয়রা থানায় জানালে ঘটনাস্থল থেকে বাসটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসের হেলপার বাদশা মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সুপারভাইজার শহিদুল খানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত বাস চালকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।