দেশ বিদেশ
‘ঋণ ও কর ফাঁকির সুযোগ পাওয়ায় পুঁজিবাজার বিমুখ কোম্পানিগুলো’
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
কর ফাঁকি দেয়া এবং ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার সুযোগ পাওয়ায় অনেক কোম্পানি বাজারে আসতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর ফারস হোটেলে অনলাইন বিজনেস পোর্টাল বিজনেস আওয়ার২৪.কম আয়োজিত ‘শিল্পায়নে আইপিও’র গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিজনেস আওয়ার-এর প্রধান উপদেষ্টা আকতার হোসেন সান্নামাতের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিটিভি’র প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদ। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেক কোম্পানি কর ফাঁকি দিয়ে এবং ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার সুযোগ পেয়ে গেছে। এ কারণে তারা পুঁজিবাজারে আসতে চায় না। এই জন্য বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতা কিভাবে কমিয়ে আনা যায় তা ভাবতে হবে। প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইন মন্ত্রণালয়কে প্রধান বিচারপতির শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, এতো মার্চেন্ট ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে কিসের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিবেচনা নেয়া উচিত। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নিজেদের কাজে অন্তর দৃষ্টি দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত। কারণ পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি আনতে তাদের ভূমিকা অনেক বেশি।
একই মত দেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, অনেক সুবিধা পাওয়ার পরেও ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসছে না। কারণ বাজারে না এসে তারা ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার সুবিধা পায়। ঋণ পরিশোধ না করে পার পেয়ে যায়। আবার তুলনামূলক ঋণ সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু পুঁজিবাজারে আসলে এজিএম করতে হয়, লভ্যাংশ দিতে হয়, জবাবদিহি করতে হয় এবং কোম্পানিতে স্বচ্ছতা আনতে হয়। এ কারণে এসব কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারবিমুখ। ফলে দেশীয় কোম্পানিগুলোর কারণে বিদেশি কোম্পানিগুলোও বাজারে আসতে চায় না। এসব কোম্পানির কাছে ব্যাংক ঋণ তুলনামূলক সস্তা বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেমিনারে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে পতনের সঙ্গে ট্রেক হোল্ডাররাই জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডাররাই শেয়ারবাজারের মূল সমস্যা। তাদের কারণেই বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। ট্রেক হোল্ডার বলতে ডিএসই ও সিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকারেজ হাউজ অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা হয় তাদেরকে বুঝানো হয়।
বিজনেস আওয়ার-এর প্রধান উপদেষ্টা আকতার হোসেন সান্নামাতের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিটিভি’র প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদ। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেক কোম্পানি কর ফাঁকি দিয়ে এবং ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার সুযোগ পেয়ে গেছে। এ কারণে তারা পুঁজিবাজারে আসতে চায় না। এই জন্য বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রতা কিভাবে কমিয়ে আনা যায় তা ভাবতে হবে। প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইন মন্ত্রণালয়কে প্রধান বিচারপতির শরণাপন্ন হওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, এতো মার্চেন্ট ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে কিসের ভিত্তিতে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিবেচনা নেয়া উচিত। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নিজেদের কাজে অন্তর দৃষ্টি দিয়ে বিশ্লেষণ করা উচিত। কারণ পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানি আনতে তাদের ভূমিকা অনেক বেশি।
একই মত দেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, অনেক সুবিধা পাওয়ার পরেও ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসছে না। কারণ বাজারে না এসে তারা ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার সুবিধা পায়। ঋণ পরিশোধ না করে পার পেয়ে যায়। আবার তুলনামূলক ঋণ সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু পুঁজিবাজারে আসলে এজিএম করতে হয়, লভ্যাংশ দিতে হয়, জবাবদিহি করতে হয় এবং কোম্পানিতে স্বচ্ছতা আনতে হয়। এ কারণে এসব কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারবিমুখ। ফলে দেশীয় কোম্পানিগুলোর কারণে বিদেশি কোম্পানিগুলোও বাজারে আসতে চায় না। এসব কোম্পানির কাছে ব্যাংক ঋণ তুলনামূলক সস্তা বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেমিনারে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে পতনের সঙ্গে ট্রেক হোল্ডাররাই জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডাররাই শেয়ারবাজারের মূল সমস্যা। তাদের কারণেই বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। ট্রেক হোল্ডার বলতে ডিএসই ও সিএসইর সদস্য প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকারেজ হাউজ অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে শেয়ার লেনদেন করা হয় তাদেরকে বুঝানো হয়।