খেলা
ক্রিকেটের বড় অন্তরায় মিডিয়া!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
গতকাল ছিল ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিন। কিন্তু আড়াই দিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়াতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুশীলনে নামে বাংলাদেশ দল। দুপুর ৩টায় মাঠে এসে পৌঁছায় দল। সঙ্গে ছিলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও। তিনিই এ সিরিজে টাইগারদের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। ত্রিদেশীয় ওয়ানডের পর টেস্ট সিরিজও হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ দল। তাই জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়কের দিকেও উঠেছে আঙুল। বিশেষ করে বোর্ড পরিচালক, আবাহনীর কোচ ও বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ ছাড়াও জাতীয় দলের ম্যানেজার এবং সর্বশেষ টিম ডিরেক্টরসহ অনেক দায়িত্বই খালেদ মাহমুদের ঘাড়ে। এ কারণেই তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। সেই সমালোচনার পালে হওয়া লেগেছে সিরিজের শেষ টেস্টে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে না খেলিয়ে আবাহনীর হয়ে প্রিমিয়ার লীগে খেলানো নিয়ে। এসব প্রসঙ্গে গতকাল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেশ আবেগী হয়ে ওঠেন সুজন। ক্রিকেটের পরিবেশ নোংরা দাবি করে এখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার কথাও বলেন। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
উইকেটের দোষ
যদি উইকেটকে দোষ দিতে হয়, আমাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৬ উইকেটে ১১০ এর পর যদি ১৪০ রানে অলআউট করতে পারতাম ৭০/৮০ রান কম হতো শ্রীলঙ্কার। দিলরুয়ান, আকিলা, লাকমাল বা আমাদের মিরাজের ব্যাটিং দেখেন- ওরা তো বোলার। আমাদের ব্যাটসম্যানদের কথা যদি বলি; আমরা আমাদের কাজটা করতে পারিনি। আমরা ভালো খেলিনি। উইকেট একটা অজুহাত মাত্র। বোলিং-ব্যাটিং কোনোটাই আমরা ভালো করতে পারিনি।
নতুন দায়িত্ব যে আশায় শুরু
প্রতিদিন সূর্য ওঠে। আমি হতাশ হলেও হতাশ নই! আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আমি বিশ্বাস করছিলাম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জেতা সম্ভব তিন ফরমেটেই। খুব আনলাকি সাকিবকে মিস করেছি ফাইনালে। টেস্টেও ছিল না, এখন টি-টোয়েন্টিতেও হয়তো নেই। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সাকিবকে দুই জায়গায় খেলিয়ে কাজটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এটা কোনো অজুহাত নয়। বাকিদের সামর্থ্য আছে। আমরা চাপটা নিতে পারেনি।
হাথুরুসিংহের সঙ্গে পার্থক্য
আমার মনে হয় হাথুরুকে নিয়ে বড় চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল। পুরো জাতি বিপক্ষে চলে গেছে, যেন হাথুরুর সঙ্গে ফাইট। কিন্তু তার সঙ্গে তো ফাইট ছিল না। ছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। এটা নেগেটিভ মাইন্ডসেট ছিল। আমরা অনেকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আসলে ম্যানেজমেন্ট তো ক্রিকেট খেলে না, খেলবে খেলোয়াড়রা। তারা যদি পারে তবে কঠিন। যদি বুঝতাম এদের সামর্থ্য নেই, তাহলে মন খারাপের কিছু ছিল না। কিন্তু এদের তো সামর্থ্য আছে। সামর্থ্য থাকার পরও না পারলে বলতে হবে মাইন্ডসেট।
বাঙালি কেউ কাজ করলে সমস্যা
এটা কোচিংয়ের বিষয় না, মানসিকতার বিষয়। অনেক বেটার কোচিং হয়েছে এবার। আমরা পারিনি, কোচরা মাঠে খেলে না। এই ছেলেরাই আগে ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি। ফ্লাট উইকেটেও আমরা কী করতে পারতাম। আমরা তো চিটাগাংয়েও হারতে পারতাম। আমরা তো দুইটা উইকেট নিতে পারছিলাম না। শ্রীলঙ্কার ট্রফিতে কে কোচ তা বোর্ড ঠিক করবে। কারণ পজিশনটা তো বোর্ড আমাকে দিয়েছে। কাজ করবো না এই কথা কখনই বলতে চাই না। কিন্তু বাঙালি কেউ কাজ করলে সেটা আসলে সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমি এখনো টিকে আছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা। অনেক বড় বড় কোচ থাকার পরেও খারাপ রেজাল্ট হয়েছে। খারাপ রেজাল্ট আমার সময়ও হতে পারে। বাংলাদেশ খারাপ খেলছে এটা আমাদের পরিকল্পনার ভুল হতে পারে। পারসোনালি আমি আর আগ্রহী না। আমার আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গেই কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। সত্যি কথা বলতে গেলে আমার আসলে নোংরা লাগছে। এত বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করছি, বাংলাদেশের উন্নতির জন্যই কাজ করছি। এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই।
সব কিছু নোংরা
নোংরা আসলে সবকিছুই। এটা আসলে বলার কিছু নেই। আপনারাও জানেন, আমরাও জানি। আমাদের ক্রিকেটের বড় অন্তরায় হিসেবে মিডিয়ারও একটা ব্যাপার আছে। মিডিয়ার কারণে আমাদের ক্রিকেট আটকে আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। ক্রিকেট আমরা এত বছর ধরে খেলছি, এখনো এত গসিপিং। মিডিয়াতে ভালো খারাপ সবই হবে। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস বেশি নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে।
মিডিয়ার উপর রাগ
আমি তো গড না। আমি তো খালেদ মাহমুদ সুজন। আমি খুবই সামান্য একটা মানুষ। আমি এখানে দাঁড়িয়ে কাজ করেছি, মানুষ স্বীকার না করলেও আমি ভালোবাসি। আমি ক্রিকেট খেলি ১২-১৩ বছর বয়সে। আমার মেজাজ খারাপ হতে পারে, টেকনিক্যালি হয়তো খারাপ হতে পারি। কিন্তু অন্য বিষয় নিয়ে যখন কথা বলি তখন এটা আমাকে খুবই আহত করে। যখন আসে যে, আমি আবাহনীর হেড কোচ। আমি মোসাদ্দেককে খেলাইনি- এই কারণে যে আবাহনীতে খেলার জন্য। যখন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলা হয় তখন এটা খুবই আহত করে। আমি মনে করি না, বাংলাদেশের থেকে আবাহনী বা অন্য কিছু আমাকে টাচ করতে পারে। জীবনেও ছুঁতে পারবে না, ছুঁতে পারেওনি। আমি মিডিয়ার দাবি মানছি না। আমি বলতে চাচ্ছি আপনারা এটা স্টাব্লিশ করতে চান। চান্দিকা চলে গেল কেন। এটা স্টাব্লিশ করানো হয়েছে। আমরা তো বাচ্চা-খোকা নই, সবই বুঝতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া বলেন, মিডিয়া বলেন। আজকে এমনও শুনছি যে রাস্তায় গেলে আমাকে মারও খাইতে হতে পারে। তো ক্রিকেট খেলার জন্য মার খেতে হলে বিষয়টা বিব্রতকর।
উইকেটের দোষ
যদি উইকেটকে দোষ দিতে হয়, আমাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ৬ উইকেটে ১১০ এর পর যদি ১৪০ রানে অলআউট করতে পারতাম ৭০/৮০ রান কম হতো শ্রীলঙ্কার। দিলরুয়ান, আকিলা, লাকমাল বা আমাদের মিরাজের ব্যাটিং দেখেন- ওরা তো বোলার। আমাদের ব্যাটসম্যানদের কথা যদি বলি; আমরা আমাদের কাজটা করতে পারিনি। আমরা ভালো খেলিনি। উইকেট একটা অজুহাত মাত্র। বোলিং-ব্যাটিং কোনোটাই আমরা ভালো করতে পারিনি।
নতুন দায়িত্ব যে আশায় শুরু
প্রতিদিন সূর্য ওঠে। আমি হতাশ হলেও হতাশ নই! আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। আমি বিশ্বাস করছিলাম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জেতা সম্ভব তিন ফরমেটেই। খুব আনলাকি সাকিবকে মিস করেছি ফাইনালে। টেস্টেও ছিল না, এখন টি-টোয়েন্টিতেও হয়তো নেই। সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, সাকিবকে দুই জায়গায় খেলিয়ে কাজটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এটা কোনো অজুহাত নয়। বাকিদের সামর্থ্য আছে। আমরা চাপটা নিতে পারেনি।
হাথুরুসিংহের সঙ্গে পার্থক্য
আমার মনে হয় হাথুরুকে নিয়ে বড় চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল। পুরো জাতি বিপক্ষে চলে গেছে, যেন হাথুরুর সঙ্গে ফাইট। কিন্তু তার সঙ্গে তো ফাইট ছিল না। ছিল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। এটা নেগেটিভ মাইন্ডসেট ছিল। আমরা অনেকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আসলে ম্যানেজমেন্ট তো ক্রিকেট খেলে না, খেলবে খেলোয়াড়রা। তারা যদি পারে তবে কঠিন। যদি বুঝতাম এদের সামর্থ্য নেই, তাহলে মন খারাপের কিছু ছিল না। কিন্তু এদের তো সামর্থ্য আছে। সামর্থ্য থাকার পরও না পারলে বলতে হবে মাইন্ডসেট।
বাঙালি কেউ কাজ করলে সমস্যা
এটা কোচিংয়ের বিষয় না, মানসিকতার বিষয়। অনেক বেটার কোচিং হয়েছে এবার। আমরা পারিনি, কোচরা মাঠে খেলে না। এই ছেলেরাই আগে ভালো খেলেছে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি। ফ্লাট উইকেটেও আমরা কী করতে পারতাম। আমরা তো চিটাগাংয়েও হারতে পারতাম। আমরা তো দুইটা উইকেট নিতে পারছিলাম না। শ্রীলঙ্কার ট্রফিতে কে কোচ তা বোর্ড ঠিক করবে। কারণ পজিশনটা তো বোর্ড আমাকে দিয়েছে। কাজ করবো না এই কথা কখনই বলতে চাই না। কিন্তু বাঙালি কেউ কাজ করলে সেটা আসলে সবচেয়ে বড় সমস্যা। আমি এখনো টিকে আছি এটাই সবচেয়ে বড় কথা। অনেক বড় বড় কোচ থাকার পরেও খারাপ রেজাল্ট হয়েছে। খারাপ রেজাল্ট আমার সময়ও হতে পারে। বাংলাদেশ খারাপ খেলছে এটা আমাদের পরিকল্পনার ভুল হতে পারে। পারসোনালি আমি আর আগ্রহী না। আমার আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গেই কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। সত্যি কথা বলতে গেলে আমার আসলে নোংরা লাগছে। এত বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করছি, বাংলাদেশের উন্নতির জন্যই কাজ করছি। এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই।
সব কিছু নোংরা
নোংরা আসলে সবকিছুই। এটা আসলে বলার কিছু নেই। আপনারাও জানেন, আমরাও জানি। আমাদের ক্রিকেটের বড় অন্তরায় হিসেবে মিডিয়ারও একটা ব্যাপার আছে। মিডিয়ার কারণে আমাদের ক্রিকেট আটকে আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। ক্রিকেট আমরা এত বছর ধরে খেলছি, এখনো এত গসিপিং। মিডিয়াতে ভালো খারাপ সবই হবে। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস বেশি নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে।
মিডিয়ার উপর রাগ
আমি তো গড না। আমি তো খালেদ মাহমুদ সুজন। আমি খুবই সামান্য একটা মানুষ। আমি এখানে দাঁড়িয়ে কাজ করেছি, মানুষ স্বীকার না করলেও আমি ভালোবাসি। আমি ক্রিকেট খেলি ১২-১৩ বছর বয়সে। আমার মেজাজ খারাপ হতে পারে, টেকনিক্যালি হয়তো খারাপ হতে পারি। কিন্তু অন্য বিষয় নিয়ে যখন কথা বলি তখন এটা আমাকে খুবই আহত করে। যখন আসে যে, আমি আবাহনীর হেড কোচ। আমি মোসাদ্দেককে খেলাইনি- এই কারণে যে আবাহনীতে খেলার জন্য। যখন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট নিয়ে কথা বলা হয় তখন এটা খুবই আহত করে। আমি মনে করি না, বাংলাদেশের থেকে আবাহনী বা অন্য কিছু আমাকে টাচ করতে পারে। জীবনেও ছুঁতে পারবে না, ছুঁতে পারেওনি। আমি মিডিয়ার দাবি মানছি না। আমি বলতে চাচ্ছি আপনারা এটা স্টাব্লিশ করতে চান। চান্দিকা চলে গেল কেন। এটা স্টাব্লিশ করানো হয়েছে। আমরা তো বাচ্চা-খোকা নই, সবই বুঝতে পারি। সোশ্যাল মিডিয়া বলেন, মিডিয়া বলেন। আজকে এমনও শুনছি যে রাস্তায় গেলে আমাকে মারও খাইতে হতে পারে। তো ক্রিকেট খেলার জন্য মার খেতে হলে বিষয়টা বিব্রতকর।