খেলা
রেহাই পাচ্ছেন না কামাল বাবু!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
স্বাধীনতা কাপে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে মাঠে ঢুকে রেফারির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন রহমতগঞ্জের কোচ কামাল বাবু। এ ঘটনায় তাকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তবে এর আগে কামাল বাবুকে শোকজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। শোকজের জবাবের আগ পর্যন্ত ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে থাকতে পারবেন না তিনি। দেশের ঘরোয়া ফুটবলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কামাল বাবুকে আর্থিক দণ্ডও দিতে পারে বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটি। আর শাস্তিটা হতে পারে কমপক্ষে ছয় মাস নিষিদ্ধ থাকা।
চট্টগ্রাম আবাহনী-রহমতগঞ্জ সেমিফাইনাল চলার সময় ডাগ আউট ছেড়ে মাঠের ভেতরে গিয়ে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কামাল বাবু, তর্কও করেছিলেন রেফারির সঙ্গে। ম্যাচের পর বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল রহমতগঞ্জকে। পুরনো ঢাকার ক্লাবটি ক্ষমা চাইলেও ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি, বরং রোববার সভা করে কামাল বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোটিশ পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না দিলে কঠিন শাস্তি হতে পারে রহমতগঞ্জ কোচের। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিঠির জবাব দিলেও রক্ষা হচ্ছে না কামাল বাবুর, তা বোঝা গেছে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হলে শাস্তি একটু কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ হবে ছয় মাস এমনটাই জানিয়েছেন ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক সদস্য। এরই মধ্যে কামাল বাবু অবশ্য নিজের ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, ‘আমার ব্যবহারের জন্য রেফারি, খেলোয়াড় ও খেলার সঙ্গে জড়িত সবার কাছে আমি অপরাধী। দয়া করে আমার বুড়ো বয়সের অপরাধ মাফ করে দেবেন। স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে কেন এমন করলাম, আমি নিজেই বুঝতে পারছি না।’
এদিকে কোচের শৃঙ্খলাজনিত কাণ্ডের পরেও লাল কার্ড না দেখানোতে অবাক হয়েছেন জাতীয় দলের কোচ অ্যান্ডু্র ওর্ড। ভিআইপি বক্স থেকে নেমে প্রেস বক্সে এসে বিস্ময়ের কথা জানিয়ে বলেন, ‘ফুটবলে নিয়ম অনুযায়ী কোচ ডাগআউট থেকে মাঠে গেলে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দিতে হবে; কিন্তু রহমতগঞ্জ কোচ কেন ডাগআউটে? এমনটা তো আমি আগে কখনও দেখিনি।’ তবে, কোচ কামাল বাবু অবশ্য ফেসবুকে এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, ‘আমি ছেলেদের ঠাণ্ডা করার জন্য গিয়েছিলাম।’ কামাল বাবুর এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে হতবাক বাফুফেও। তাই কোনো ছাড় দিতে নারাজ দেশের ফুটবল সংস্থা।
পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, ‘সত্যিই অবাক করার মতো ব্যাপার। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ম্যাচ রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট দেখেই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। আমার মনে হয় বড় ধরনের শাস্তিই হতে যাচ্ছে তার।’
কামাল বাবুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। প্রায়ই তিনি ম্যাঠে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান। একাধিক বার এমন অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। রেফারির সঙ্গে বিরুপ আচরণ ছাড়াও ম্যাচ পাতানো নিয়ে আলোচিত ছিলেন কামাল বাবু। চলতি মৌসুমে পাতানো ম্যাচে জড়িত থাকার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। তার ক্লাব রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে দুটি পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগ রয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে দুটি ম্যাচের নেপথ্যে কাজ করেছেন তিনি। রহমতগঞ্জের কোচ হয়েও তিনি সাইফ স্পোর্টিং একাডেমির উপদেষ্টা কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। আবার তিনি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের দল গড়েছেন। এই দুটি ক্লাবের বিপক্ষে পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগ রয়েছে রহমগঞ্জের। সবকিছু মিলে কামাল বাবু নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক দণ্ডের মুখে পড়ে আছেন। সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে বলে জানা যায়।
চট্টগ্রাম আবাহনী-রহমতগঞ্জ সেমিফাইনাল চলার সময় ডাগ আউট ছেড়ে মাঠের ভেতরে গিয়ে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কামাল বাবু, তর্কও করেছিলেন রেফারির সঙ্গে। ম্যাচের পর বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছিল রহমতগঞ্জকে। পুরনো ঢাকার ক্লাবটি ক্ষমা চাইলেও ডিসিপ্লিনারি কমিটি তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি, বরং রোববার সভা করে কামাল বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত ও কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নোটিশ পাঠানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না দিলে কঠিন শাস্তি হতে পারে রহমতগঞ্জ কোচের। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিঠির জবাব দিলেও রক্ষা হচ্ছে না কামাল বাবুর, তা বোঝা গেছে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হলে শাস্তি একটু কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ হবে ছয় মাস এমনটাই জানিয়েছেন ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক সদস্য। এরই মধ্যে কামাল বাবু অবশ্য নিজের ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়ে লিখেছেন, ‘আমার ব্যবহারের জন্য রেফারি, খেলোয়াড় ও খেলার সঙ্গে জড়িত সবার কাছে আমি অপরাধী। দয়া করে আমার বুড়ো বয়সের অপরাধ মাফ করে দেবেন। স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে কেন এমন করলাম, আমি নিজেই বুঝতে পারছি না।’
এদিকে কোচের শৃঙ্খলাজনিত কাণ্ডের পরেও লাল কার্ড না দেখানোতে অবাক হয়েছেন জাতীয় দলের কোচ অ্যান্ডু্র ওর্ড। ভিআইপি বক্স থেকে নেমে প্রেস বক্সে এসে বিস্ময়ের কথা জানিয়ে বলেন, ‘ফুটবলে নিয়ম অনুযায়ী কোচ ডাগআউট থেকে মাঠে গেলে তাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বের করে দিতে হবে; কিন্তু রহমতগঞ্জ কোচ কেন ডাগআউটে? এমনটা তো আমি আগে কখনও দেখিনি।’ তবে, কোচ কামাল বাবু অবশ্য ফেসবুকে এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, ‘আমি ছেলেদের ঠাণ্ডা করার জন্য গিয়েছিলাম।’ কামাল বাবুর এমন অসৌজন্যমূলক আচরণে হতবাক বাফুফেও। তাই কোনো ছাড় দিতে নারাজ দেশের ফুটবল সংস্থা।
পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী জানান, ‘সত্যিই অবাক করার মতো ব্যাপার। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। ম্যাচ রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট দেখেই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে ডিসিপ্লিনারি কমিটি। আমার মনে হয় বড় ধরনের শাস্তিই হতে যাচ্ছে তার।’
কামাল বাবুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। প্রায়ই তিনি ম্যাঠে রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান। একাধিক বার এমন অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। রেফারির সঙ্গে বিরুপ আচরণ ছাড়াও ম্যাচ পাতানো নিয়ে আলোচিত ছিলেন কামাল বাবু। চলতি মৌসুমে পাতানো ম্যাচে জড়িত থাকার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। তার ক্লাব রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে দুটি পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগ রয়েছে। গুঞ্জন রয়েছে দুটি ম্যাচের নেপথ্যে কাজ করেছেন তিনি। রহমতগঞ্জের কোচ হয়েও তিনি সাইফ স্পোর্টিং একাডেমির উপদেষ্টা কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। আবার তিনি শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের দল গড়েছেন। এই দুটি ক্লাবের বিপক্ষে পাতানো ম্যাচ খেলার অভিযোগ রয়েছে রহমগঞ্জের। সবকিছু মিলে কামাল বাবু নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক দণ্ডের মুখে পড়ে আছেন। সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে বলে জানা যায়।