এক্সক্লুসিভ
ভালোবাসা দিবসে আকর্ষণ মানিকগঞ্জের জারবারা
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন
ফুলের নাম জারবারা। বিদেশি এই ফুল সাত সমুদ্র তেরনদী পার হয়ে এসেছে মানিকগঞ্জে। পদ্মা নদীর তীরের ৫শ’ গজ দূরের পাটুরিয়া ঘাট সংলগ্ম একটি বাগানে রোপণ করা হয়েছে ১০ হাজার জারবারার চারা। সেই চারা থেকে এখন পুরো বাগানটি ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। এই বাগানে অন্য ফুলের চাষ করা হলেও ফুলপ্রেমী মানুষের মূল আকর্ষণই হচ্ছে জারবারা ফুল। আর ভালোবাসা দিবসে হাজারো ভালোবাসার মানুষের হাতে পৌঁছাবে মানিকগঞ্জের বাগানের এ বিদেশি ফুল। জেলার শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া এলাকার পদ্মার নদীর একটু অদূরেই আফতাব উদ্দিন খানের ৫ একর জায়গাজুড়ে শোভা পাচ্ছে ফুলের সমারোহ। গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ বেশ কয়েক প্রজাতির ফুল এই বাগানে চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় আড়াই একর জায়গায় রয়েছে জারবারা ফুল। ৫ বছর ধরে এই বাগানে জারবারা ফুলের চাষ হচ্ছে। লাল, সাদা, গোলাপী, হলুদসহ ১০ রঙের এই ফুল বাগানের মূল আকর্ষণ। অনেকটা সূর্যমুখী ফুলের মতো এই ফুল দেখতে বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। একবার দেখলেই দৃষ্টি ফেরানো কঠিন। বাগানের পরিচর্যায় নিয়োজিত রিয়াজুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান জারবারা ফুল সম্পর্কে। বলেন, এই ফুল খুব যত্নসহকারে চাষ করতে হয়। সরাসরি সূর্যের আলো এই ফুলগাছে পড়লে গাছ বাড়বে না এবং ফুল ফুটবে না। সেজন্য আগে সেড তৈরি করতে হবে। আলো বাতাস যাতে প্রবেশ করতে পারে সেভাবে ওপরে ছাউনি ও চারপাশে বাঁশের বেড়া দিতে হবে। এরপর ভেতরে উর্বর মাটি তৈরি করে যা যা প্রয়োজন সব কিছুই করতে হবে। তিনি বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে বিদেশ থেকে জারবারা ফুলের চারা এনে বাগানে রোপণ করা হয়েছে। সঠিক পরিচর্যা করা হলে সহজে এই ফুলের চারা মারা যায় না। একজন চাষি থেকে কয়েশ ফুল পাওয়া যায়। অত্যন্ত লাভজন এই ফুল। এই বাগানের আকর্ষণই হচ্ছে জারবারা ফুল। রিয়াজুল বলেন, বিশেষ বিশেষ দিবসে এই ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। ভালোবাসা দিবসের জন্য বাগান থেকে কয়েক হাজার ফুল তোলা হচ্ছে। এরপর একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য তোলা হবে। সপ্তাতে দু’দিন এই ফুল কাটা হয়। এখান থেকে আমরা ফুল পাঠাই ঢাকার শাহবাগে। আমরা প্রতিটি ফুল পাইকারি বিক্রি করি ৬ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে ভালোবাসা দিবসে প্রচুর চাহিদা এই ফুলের। দামও বেশি পাই। মানিকগঞ্জে উৎপাদিত এই জারবারা ফুল যাবে ঢাকার ফুলের দোকানে। আর সেই ফুল ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার মানুষের হাতে তুলে দেবেন তাদের প্রিয় মানুষজন।