অনলাইন

‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া হবে না’

স্টাফ রিপোর্টার

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভুয়া একটি মামলা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। এভাবে তাকে বেশিদিন আটকে রাখা যাবেনা। খুব শিগগিরই তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। বেগম জিয়াকে নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে অংশ নেব। তাকে ছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে সকাল ১০টায় মানববন্ধনটি শুরু হয়। এক ঘন্টার এই মানববন্ধনে ২০ দলের নেতারাও অংশ নেন। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, শত প্রতিকুলতার মধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই কারাবাসের বিরুদ্ধে আপনাদের যে ক্ষোধ, আপনাদের যে হতাশা, আপনাদের বেগম জিয়ার প্রতি যে ভালোবাসা সেটা আপনারা প্রকাশ করেছেন। আজকে এই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, বেগম জিয়া এদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, দেশনেত্রীর মুক্তি না হওয়া পর্য়ন্ত আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে। মির্জা ফখরুল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশনেত্রী কারাগারে যাবার আগে বলে গেছেন, আপনাদের ধৈর্য ধরতে, শান্ত হতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে। আমাদের এই কর্মসূচি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করবার জন্যে, আমাদের এই কর্মসূচি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যে। এই মুহুর্তে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তার মুক্তি আমরা চাই। তিনি বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, দেশনেত্রীকে নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে যাবো। দেশনেত্রী ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা সহায়ক সরকার চাই, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করে দেশের জনগনের আশা-আকাংখার বাস্তবায়ন করতে চাই। তাই আসুন শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করি। একই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব। এসময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান,  শামসুজ্জামান দুদু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুস সালাম,কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, শওকত মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান, মিজানুর রহমান মিনু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদিন ফারুক,জয়নাল আবেদিন ভিপি, গোলাম আকবর খন্দকার, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি,  হাবিবুর রহমান হাবিব, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম আালিম, শামীমুর রহমান শামীম, নিলোফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, রাশেদা বেগম হীরা, আবদুল আউয়াল খান, কাদের গনি চৌধুরী, তাবিথ আউয়াল, বেবী নাজনীন, নেওয়াজ হালিমা আরজু, অপর্না রায়, নিপুর রায়, মহানগর বিএনপির কাজী আবদুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, তানজীর আহমেদ রবিন, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতানা সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, জাসাসের অধ্যাপক মামুন আহমেদ, শায়রুল কবির খান, শাহিনুল ইসলাম শায়লা, ছাত্রদলের মামুনুর রশীদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের এম এ মালেক, শাহ নেসারুল হক প্রমূখ নেতবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ২০ দলীয় জোটের কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির একাংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, অপর অংশের হামদুল্লাহ মেহেদি, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপা‘র খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, এনপিপি‘র ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনপিযি‘র গোলাম মূর্তজা, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। এটা দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেনি। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে, আমাদের সকল নেতার সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। চার দিন ধরে ডিভিশন না দিয়ে সরকার আমাদের নেত্রীকে একজন অডিনারী প্রিজনার হিসেবে তাকে কষ্ট দিয়েছে। সরকার জেল কোড ভঙ্গ করেছে। আমরা সরকারের এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মির্জা আব্বাস বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে আজ নেতাকর্মীরা যে সাহস দেখিয়েছেন তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে। ৩/৪ দিন তাকে ডিভিশন ছাড়া কারাগারে রাখা হয়েছে। এটা অবিচার। মানববন্ধনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়ে হাত ধরে সচিবালয় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত অবস্থান নেন। এদিকে বিএনপির আজকের কর্মসূচি ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছে মহানগর পুলিশের এপিসি, জলকামান ও প্রিজনভ্যান।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দুইদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির পর শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে তিনদিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে যার প্রথম কর্মসূচি মানববন্ধন। সোমবার হবে ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান এবং পরদিন বুধবার অনশন কর্মসূচি।

[কাফি/আলিম/এফএম]
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status