অনলাইন
জাবিতে ছাত্রদল নেতাকে ছাত্রলীগের মারধর
জাবি প্রতিনিধি
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দেয়। মারধরে আহত মো. আফফান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৩৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তিনি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শাখা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের অনুসারী।
মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ৪২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বাসু দেব মজুমদার (রসায়ন বিভাগ), ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য আসিফ (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ), ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল (রসায়ন বিভাগ), মামুন (গণিত বিভাগ), ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী সুপ্ত (পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ), মেহেদী (দর্শন বিভাগ), ইয়াসিন (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ), জিম (পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ)। মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সবাই শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী।
আফফান আলী মানবজমিনকে বলেন, আমি সার্টিফিকেট তুলতে আজ দুপুরে রসায়ন বিভাগে যাই। সেখান থেকে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাকে ধাওয়া করে এলোপাথাড়ি মারধর করে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ছাত্রদলের ওই নেতা ক্যাম্পাসে ককটেল নিয়ে নাশকতা করতে এসেছিলো। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে প্রতিহত করে। শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, মারধরে আফফানের হাতের জয়েন খুলে গেছে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি হামলাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই করা হবে। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
[এফএম]
মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ৪২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বাসু দেব মজুমদার (রসায়ন বিভাগ), ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য আসিফ (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ), ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল (রসায়ন বিভাগ), মামুন (গণিত বিভাগ), ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী সুপ্ত (পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ), মেহেদী (দর্শন বিভাগ), ইয়াসিন (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ), জিম (পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ)। মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সবাই শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী।
আফফান আলী মানবজমিনকে বলেন, আমি সার্টিফিকেট তুলতে আজ দুপুরে রসায়ন বিভাগে যাই। সেখান থেকে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাকে ধাওয়া করে এলোপাথাড়ি মারধর করে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ছাত্রদলের ওই নেতা ক্যাম্পাসে ককটেল নিয়ে নাশকতা করতে এসেছিলো। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে প্রতিহত করে। শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, মারধরে আফফানের হাতের জয়েন খুলে গেছে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি হামলাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই করা হবে। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
[এফএম]