অনলাইন
চলে গেলেন মানবাধিকার কর্মী আসমা জাহাঙ্গির
মানবজমিন ডেস্ক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৬:১৭ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের সুপরিচিত মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী ও সামাজিক কর্মী আসমা জাহাঙ্গির হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৬ বছর। এ খবর দিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
খবরে বলা হয়, রোববার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাহোরের হামিদ লতিফ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশ-বিদেশের নানা আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীরা। রাজনীতিবিদরা তার মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য এক বিশাল ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক ছেলের জননী।
বাংলাদেশে আসমা জাহাঙ্গির পরিচিত মুখ। পাকিস্তানের নাগরিক হলেও তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সমর্থক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অসহায় বাঙ্গালিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার বাবা মালিক গোলাম জিলানী। ‘৭১ এর ২৫শে মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তার মুক্তির দাবি জানিয়ে জেনারেল ইয়াহিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। এজন্য তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে তিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২০১৩ সালে ৬৯ জন বিদেশী বন্ধুকে সম্মাননা দেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৩ জন পাকিস্তানীও ছিলেন। ওই ১৩ জনের একজন হচ্ছেন জিলানী। জিলানীর পক্ষ থেকে তখন ওই সম্মাননা গ্রহণ করেন আসমা। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি ও আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের অতি আবেগ প্রদর্শনের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
[রিফাত/এফএম]
খবরে বলা হয়, রোববার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লাহোরের হামিদ লতিফ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশ-বিদেশের নানা আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীরা। রাজনীতিবিদরা তার মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য এক বিশাল ক্ষতি বলে বর্ণনা করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক ছেলের জননী।
বাংলাদেশে আসমা জাহাঙ্গির পরিচিত মুখ। পাকিস্তানের নাগরিক হলেও তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সমর্থক। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অসহায় বাঙ্গালিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার বাবা মালিক গোলাম জিলানী। ‘৭১ এর ২৫শে মার্চ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তার মুক্তির দাবি জানিয়ে জেনারেল ইয়াহিয়াকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। এজন্য তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে তিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২০১৩ সালে ৬৯ জন বিদেশী বন্ধুকে সম্মাননা দেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৩ জন পাকিস্তানীও ছিলেন। ওই ১৩ জনের একজন হচ্ছেন জিলানী। জিলানীর পক্ষ থেকে তখন ওই সম্মাননা গ্রহণ করেন আসমা। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি ও আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের অতি আবেগ প্রদর্শনের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
[রিফাত/এফএম]