বিশ্বজমিন
দক্ষিণকে উত্তরের আমন্ত্রণ
মানবজমিন ডেস্ক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনকে পিয়ংইয়ংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সেখানে দুই কোরিয়ার যৌথ সম্মেলনে অংশ নিতে তাকে এই আমন্ত্রণ জানানো হয়। গতকাল দক্ষিণ কোরিয়া সফররত কিমের বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার প্রধানের বাসভবন ব্লু হাউজের মুখপাত্র এ খবর নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, শিগগিরই দক্ষিণের নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান কিম। দুই কোরিয়ার নেতা যদি আসলেই কোনো বৈঠকে বসেন, তাহলে এটি হবে দু’দেশের ইতিহাসে তৃতীয় বৈঠক। এর আগে কিমের পিতা কিম জং ইল ২০০০ ও ২০০৭ সালে দু’দফা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আলোচনার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণে সম্মত হয় উত্তর কোরিয়া। এরপর থেকে দু’দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। নিজের বোনকে প্রতিনিধিদলসহ দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছেন কিম। শুক্রবার অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন কিম ইয়ো জং। এ সময় তাকে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনের সঙ্গে হাস্যোজ্জল করমর্দন করতেও দেখা যায়। পরে সিউলের ব্লু হাউজে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন
জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম ইয়ো জং। মুনকে ভাইয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেয়ার পর কিম ইয়ো জং বলেন, শিগগিরই আমরা আপনাকে পিয়ংইয়ংয়ে দেখতে চাই। একতার নতুন অধ্যায় শুরু করে ইতিহাস তৈরির ক্ষেত্রে আমরা মুনকে নায়ক হিসেবে দেখতে চাই। তবে উত্তর কোরিয়ার আমন্ত্রণের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি মুন জায়ে ইন। বরং তিনি বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের উচিত আরো কার্যকরভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে বসা। মুন বলেন, শিগগিরই উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় বসা প্রয়োজন। এ সময় তিনি উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে কার্যকর সংলাপের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করতে চাইছে উত্তর কোরিয়া। এমনকি বিশ্লেষকরা দুই কোরিয়ার মধ্যে কোনো সম্মেলনের সম্ভাবনাও দেখছেন না।
জায়ে ইনের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম ইয়ো জং। মুনকে ভাইয়ের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেয়ার পর কিম ইয়ো জং বলেন, শিগগিরই আমরা আপনাকে পিয়ংইয়ংয়ে দেখতে চাই। একতার নতুন অধ্যায় শুরু করে ইতিহাস তৈরির ক্ষেত্রে আমরা মুনকে নায়ক হিসেবে দেখতে চাই। তবে উত্তর কোরিয়ার আমন্ত্রণের বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি মুন জায়ে ইন। বরং তিনি বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের উচিত আরো কার্যকরভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে বসা। মুন বলেন, শিগগিরই উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় বসা প্রয়োজন। এ সময় তিনি উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে কার্যকর সংলাপের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে সমঝোতায় আসার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূ-খণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর প্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করতে চাইছে উত্তর কোরিয়া। এমনকি বিশ্লেষকরা দুই কোরিয়ার মধ্যে কোনো সম্মেলনের সম্ভাবনাও দেখছেন না।