ভারত

ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

কলকাতা প্রতিনিধি

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ৭:৩৬ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে প্রকাশ্যেই তিনি মা বলে সম্বোধন করতেন। আর মায়ের প্রত্যক্ষ মদতেই এই আইপিএস অফিসার মাত্র ছয় মাস আগেও প্রভূত ক্ষমতা ভোগ করেছেন। তবে গত কয়েকমাস  আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়ে পড়েছেন তিনি। বদলিও হয়েছিলেন কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। আজ সেই অফিসার ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। অবশ্য এখন তিনি পুলিশের উচ্চপদে নেই। কিছুদিন আগেই তাকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বদল করার অভিমানে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের এক স্বর্ণব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার কলকাতা, সোনারপুর  ও পশ্চিম মেদিনীপুরের  বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে প্রচুর অর্থ, সরকারি নথিপত্র, জমির দলিল ও সোনাদানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এরপরই বার বার দেখা করার নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া না মেলায় শনিবার সিআইডি সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তার একসময়ের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত শুক্রবারই ভারতী ঘোষের একসময়ের ঘনিষ্ঠ দুই পুলিশ অফিসার চিত্ত পাল ও শুভঙ্কর দেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। চিত্তপাল ঘাটাল থানার ওসি ছিলেন। পরে তিনি ডেবরা থানা হয়ে, শেষমেশ কেশিয়ারি থানার দায়িত্বে ছিলেন। শুভঙ্কর দে ছিলেন ঘাটাল সার্কেলের ইন্সপেক্টর। এদের দুজনের বাড়ি থেকেই প্রচুর পরিমাণ হিসাববহির্ভূত অর্থ পেয়েছে পুলিশ। ভারতী ঘোষ একটানা ছয় বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। একসময় একই সঙ্গে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। মমতার সঙ্গে ভারতী ঘোষের সুমধুর সম্পকের জেরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ছিল ভারতী ঘোষের একচ্ছত্র আধিপত্য। বিরোধীদের অভিযোগ, তার কাজকর্ম ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের একজন  নেত্রীর মত। দলকে গোছানো, দলকে বাড়ানো, দল ভাঙা, কাউকে দলে আনা-এসবের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ এবং ২০১৬ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন ভারতী ঘোষকে সরিয়ে দিলেও নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী তাকে পুরনো পদ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের পর অভিযোগ ওঠে যে, ভারতী ঘোষ মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই অভিযোগ মমতার কানে যাবার পর তাকে বদলি করে দেওয়া হয় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে।  এর প্রতিবাদে স্বেচ্ছা অবসর নেন। এর পরই ভারতীর বিরুদ্ধে সাজানো হয়েছে মামলা। এই মামলার জেরে তাকে ও তার এক সময়ের ঘনিষ্টদের নাস্তানাবুদ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভারতী অবশ্য কলকাতা থেকে দূরে দিল্লিতে আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

[এফএম]
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status