শিক্ষাঙ্গন

বেরোবির ভর্তি জালিয়াতি

এক মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত কার্যক্রম

বেরোবি প্রতিনিধি

৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ৩:১২ পূর্বাহ্ন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ইং শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে প্রভাবশালী সেই আন্টিসহ মূল হোতারা। আর জালিয়াতি তদন্তে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এতে একরকম চাপা পড়ে গেছে জালিয়াতির বিষয়টি। আর দীর্ঘদিন পরও এঘটনায় জড়িতরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি সাক্ষাতকারে জালিয়াতির অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ছয় শিক্ষার্থীর মধ্যে লালমনিরহাট জেলার মিশনমোড় এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে শাহরিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদে ভর্তি জালিয়াতি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য বেড়িয়ে আসে।
তার দেয়া তথ্যে ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত নগরীর খামার মোড় এলাকার কথিত এক আন্টি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর নাম বেড়িয়ে আসে। এর কয়েকদিন পর জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারোল কর্মচারী রায়হান চৌধুরী পিন্টুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তবে ধরাছোয়ার বাইরে থাকেন সেলিমা বেগম (৫০) নামের সেই আন্টি।
পিন্টুকে গ্রেফতারের পর রংপুর কোতোয়ালী থানার উপ পরিদর্শক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহিব্বুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ‘ভর্তি পরিক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় পিন্টুর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িত সেই আন্টির সাথে পিন্টুর যোগসাজশ ছিল। পরিকল্পিতভাবে পিন্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক কিছু স্বীকার করেছে।’ পরবর্তীতে এঘটনায় জড়িত আরও তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এঘটনায় সর্বমোট ১০ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলেও এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন সেলিমা বেগম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতিতে মোট  ৫ চক্র জড়িত ছিল বলে জানায় পুলিশ। এর মধ্যে দুটি চক্রের চার জালিয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোপূর্বে পুলিশ জানিয়েছিল বাকি তিন চক্রের অন্যান্য জালিয়াতদের তারা শনাক্ত করেছে। তবে ঘটনার ১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও অন্য কোন জালিয়াতকে আটক করা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে জালিয়াতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অভ্যাহত আছে বলে জানান কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিব্বুল ইসলাম।
এদিকে জালিয়াতির ঘটানায় গত ২৮ ডিসেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই কমিটিকে অতি শ্রীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দিতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি এই তথ্যানুসন্ধান কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যানুসন্ধান কমিটির সদস্য সচিব শামসুজ্জামান বলেন, ‘তথ্যানুসন্ধান চলছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা রিপোর্ট জমা দিতে পারবো। তবে কবে নাগাদ তদন্ত কার্যক্রম শেষ হবে সে বিষয়ে পরিস্কার কিছু বলেননি তিনি।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status