যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আর্চার ব্ল্যাড সেন্টারের সেমিনারে ৫-দফা প্রস্তাবনা
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ১:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজদেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ৫ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল ইতিহাসবিদ, গবেষক ও কূটনীতিকসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা । গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ জার্নালিজমের পুলিৎজারে ভবনে নিউইয়র্কের পাবলিক পলিসি থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘আর্চার ব্ল্যাড সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: অপশন্স ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়: ১) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জাতিগত নিধনের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে জাতিসঙ্গের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তে প্রেরণ করতে হবে। ২) জাতিগত নিধনের দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের আওতায় আনতে হবে। ৩) বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জরুরি খাদ্য, স্বাস্থ্য , শিক্ষা ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাহায্য দ্রুত সরবরাহ করতে হবে। ৪) রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মিয়ানমার কর্তৃক তাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৫) রাখাইনে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অধীনে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পিসবিল্ডিং ফোর্স মোতায়েন করতে হবে। সেমিনার শেষে সেন্টারের সভাপতি মুজিবুর মজুমদার ওই ৫-দফা প্রস্তাবনা ঘোষণা করেন। এর আগে সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক কাউসার মুমিনের সঞ্চালনায় উক্ত সেমিনারে রোহিঙ্গা সংকট কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি তৈরী করছে সে বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের প্রাক্তন উইং কমান্ডার সালাহ উদ্দীন নোমান চৌধুরী। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন জাতিসংঘের প্রাক্তন সিনিয়র কূটনীতিবিদ কাজী আফজালুর রহমান। সেমিনারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমেরিকান জ্যুইশদের পক্ষ থেকে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে জ্যুইশ কমিউনিটি সংগঠনগুলোর আমব্রেলা সংগঠন 'জ্যুইশ কমিউনিটি রিলেশন্স কাউন্সিল'-এর পরিচালক রাবাই বব কাপলান। সেমিনারে রোহিঙ্গা নিধনের ব্যাপক আলোকচিত্রসহ বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন ‘বার্মা টাস্কফোর্স, ইউএসএ'-র জাতিসংঘ প্রতিনিধি এডাম ক্যারোল। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইমাম ও পীস একটিভিস্ট শেখ মুসা দ্রাম্মাহ। স্বাগত বক্তব্য পাঠ করেন সেন্টারের বোর্ড অফ ডিরেক্টর পারভেজ সাজ্জাদ। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশীয় রাজনীতির আগগ্রহী শিক্ষার্থীদের বাইরে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইউএস কংগ্রেসের ফরেন এফেয়ার্স কমিটির সদস্য কংগ্রেসম্যান আদ্রিয়ানো এসপালাতের প্রতিনিধি ম্যাক্সিম জেভিয়ার, নিউ ইয়র্ক সিটি মানবাধিকার কমিশনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ভিদাদ হাসান, সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক মনির হায়দার, সাংবাদিক পুলক মাহমুদ, সাংবাদিক তোফাজ্জল লিটন প্রমুখ।
রিপোর্ট প্রকাশ- ২১/১২/২০১৭
রিপোর্ট প্রকাশ- ২১/১২/২০১৭