শরীর ও মন
বদঅভ্যাস পরিত্যাগে ক্যানসার নিরসন
অনলাইন ডেস্ক
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শুক্রবার, ১:০৯ পূর্বাহ্ন
আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ক্যানসার সম্পর্কে সচেনতা বাড়াতে প্রতিবছর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী ক্যানসার দিবস পালন করা হয়। কিছু মানুষ বংশানুক্রমে ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও, অন্যরা কিছু খারাপ অভ্যাসের কারণে ক্যানসারের মত মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের তথ্যানুসারে প্রতিবছর বিশ্বের ১৬ শতাংশ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। কিন্তু জীবন যাপনের সামান্য কিছু নিয়ম পরিবর্তন করলেই এই ঘাতক ব্যাধির আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ বদঅভ্যাস বর্জনের কথা জেনে নিই-
(১) ক্যানসারের প্রথম এবং প্রধান কারণ হল তামাক। ধূমপান নিরসনে এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন সংগঠন বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালালেও এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না তেমন। কেননা যারা ধূমপান করে, তারা এর ফলাফল সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও এ নেশায় আক্রান্ত হয়। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে ধূমপানের নেশা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য।
(২) স্থূলতা শরীরের নানান সমস্যা সৃষ্টি করে। এসব গৌণ রোগের সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসারেরও অন্যতম কারণ। মানানসই স্বাস্থ্যের সাথে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকারী ক্যানসারের ঝুঁকিমুক্ত থাকে।
(৩) বিশেষজ্ঞরা বলছেন অ্যালকোহল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল মানুষকে লিভার, মুখ, গলা, মলাশয়, স্তন এবং কোলন ক্যানসারের দিকে ধাবিত করে।
(৪) সূর্যালোকের অতিরিক্ত আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মির কারণে ত্বকে ক্যানসার হয়ে। আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ডিএনএ নষ্ট করে কোষের বৃদ্ধি বাড়িয়ে ক্যানসার সৃষ্টি করে।
(৫) প্রক্রিয়াজারতকৃত এবং সংরক্ষিত মাংস ক্যানসারের সম্ভবনা বাড়ায়। বেকন, সসেজ, হিমায়িত শুকোরের মাংস, উটের মাংস প্রভৃতি বেশি বেশি করে খাওয়া নিজেকে ধীরে ধীরে ক্যানসারের দিকে ধাবিত করার সমতুল্য। তাই এই ধরনের খাবার অল্প পরিমানে সপ্তাহে একবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
(৬) কিছু গবেষণা বলছে নারীদের স্ত্রী যৌনাঙ্গে বিশেষ করে যোনি মুখে ট্যালকম পাউডার ব্যবহারের কারণেও ক্যানসার হয়। পিরিয়ডের পরবর্তী সময়ে অনেকে পাউডার ব্যবহার করে থাকেন যার ফলে অনেক সময় ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হয়।
(৭) অতিরিক্ত চিনিসমৃদ্ধ সোডা কিংবা পানীয় নিয়মিত পানের ফলে ইন্ডোমেট্রিয়াল বা জরায়ু ক্যানসার সৃষ্টি হয়। বেশি মিষ্টি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্থূলতা বাড়ে এবং ডিম্বাশয়, পিত্তথলি, অগ্নাশয় এবং স্তন ক্যানসারের সৃষ্টির সম্ভবনা থাকে।
(৮) অতিরিক্ত লবনসমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন খাওয়ার কারণে পাকস্থলির ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরে যতখানি সোডিয়াম দরকার তা খাবারের প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পেয়ে যায় শরীর। তাই আলাদা করে খাবারে লবন না মিশালেও চলে।
সিএনএন অবলম্বনে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন প্রিয়াংকা চক্রবর্ত্তী
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভাল। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ বদঅভ্যাস বর্জনের কথা জেনে নিই-
(১) ক্যানসারের প্রথম এবং প্রধান কারণ হল তামাক। ধূমপান নিরসনে এবং ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন সংগঠন বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালালেও এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না তেমন। কেননা যারা ধূমপান করে, তারা এর ফলাফল সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও এ নেশায় আক্রান্ত হয়। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে ধূমপানের নেশা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য।
(২) স্থূলতা শরীরের নানান সমস্যা সৃষ্টি করে। এসব গৌণ রোগের সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসারেরও অন্যতম কারণ। মানানসই স্বাস্থ্যের সাথে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনকারী ক্যানসারের ঝুঁকিমুক্ত থাকে।
(৩) বিশেষজ্ঞরা বলছেন অ্যালকোহল ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল মানুষকে লিভার, মুখ, গলা, মলাশয়, স্তন এবং কোলন ক্যানসারের দিকে ধাবিত করে।
(৪) সূর্যালোকের অতিরিক্ত আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মির কারণে ত্বকে ক্যানসার হয়ে। আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ডিএনএ নষ্ট করে কোষের বৃদ্ধি বাড়িয়ে ক্যানসার সৃষ্টি করে।
(৫) প্রক্রিয়াজারতকৃত এবং সংরক্ষিত মাংস ক্যানসারের সম্ভবনা বাড়ায়। বেকন, সসেজ, হিমায়িত শুকোরের মাংস, উটের মাংস প্রভৃতি বেশি বেশি করে খাওয়া নিজেকে ধীরে ধীরে ক্যানসারের দিকে ধাবিত করার সমতুল্য। তাই এই ধরনের খাবার অল্প পরিমানে সপ্তাহে একবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
(৬) কিছু গবেষণা বলছে নারীদের স্ত্রী যৌনাঙ্গে বিশেষ করে যোনি মুখে ট্যালকম পাউডার ব্যবহারের কারণেও ক্যানসার হয়। পিরিয়ডের পরবর্তী সময়ে অনেকে পাউডার ব্যবহার করে থাকেন যার ফলে অনেক সময় ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হয়।
(৭) অতিরিক্ত চিনিসমৃদ্ধ সোডা কিংবা পানীয় নিয়মিত পানের ফলে ইন্ডোমেট্রিয়াল বা জরায়ু ক্যানসার সৃষ্টি হয়। বেশি মিষ্টি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্থূলতা বাড়ে এবং ডিম্বাশয়, পিত্তথলি, অগ্নাশয় এবং স্তন ক্যানসারের সৃষ্টির সম্ভবনা থাকে।
(৮) অতিরিক্ত লবনসমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন খাওয়ার কারণে পাকস্থলির ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরে যতখানি সোডিয়াম দরকার তা খাবারের প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পেয়ে যায় শরীর। তাই আলাদা করে খাবারে লবন না মিশালেও চলে।
সিএনএন অবলম্বনে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন প্রিয়াংকা চক্রবর্ত্তী