ভারত
বাড়ি খালি করার নোটিসের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মহুয়া
মানবজমিন ডিজিটাল
(৪ মাস আগে) ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৬:৩৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন
সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে সরকারি বাংলো ছাড়তে বলেছিল ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। তবে আধিকারিক পাঠানোর আগেই আদালতে পৌঁছলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন্দ্রের বাংলো ছাড়ার নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 'ঘুষের বদলে সংসদে প্রশ্ন করা' মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী হীরানন্দ দর্শানিকে সংসদীয় ই-মেইলের আইডি, পাসওয়ার্ড দিয়েছেন এবং তাঁর থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন বলে অভিযোগ। তার পরেই তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো খালি করতে বলা হয়েছিল। তবে মহুয়া ততদিনে বাংলো খালি না করায় গত ১১ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার নোটিশ পাঠিয়ে সরকারি বাড়ি খালি করতে বলা হয় তৃণমূল নেত্রীকে। মহুয়া মৈত্রকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। সেই সময়সীমা পার হলে ১৬ তারিখ আবারও উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয় মহুয়াকে।
সেই নোটিসের পরই দিল্লি হাইকোর্টে গেলেন মহুয়া। মহুয়ার অনুরোধ, অন্তত লোকসভা ভোট পর্যন্ত তাঁকে ওই বাংলোয় থাকয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু তাতে রাজি নয় ডিরেক্টরেট অব এস্টেট। মহুয়াকে কার্যত কড়া নোটিশ ধরানো হয়েছে। কেন বাংলো খালি হয়নি? জানতে চায় সচিবালয়। সেই নোটিসের পালটা ফের দিল্লি হাই কোর্টে গেলেন মহুয়া। 'মহুয়া মৈত্র অসুস্থ, এই অবস্থায় তাকে সরকারি বাংলো খালি করার জন্য কয়েকদিন অতিরিক্ত সময় দিলে ক্ষতি কোথায়?' কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন দিল্লি হাইকোর্টর। শুক্রবার ফের শুনানি। মহুয়ার আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন , যদি তাঁর মক্কেলকে সংশ্লিষ্ট সময়ের জন্য বাংলোয় থাকার অনুমতি দেওয়া হয়, তা হলে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও তিনি প্রস্তুত।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে