বাংলারজমিন
কুবি উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
কুবি প্রতিনিধি
৮ মে ২০২৪, বুধবারকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উভয়ের পদত্যাগ/অপসারণের এক দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুবি শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এসময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে উপাচার্যের চেয়ারে বসে তিনি সন্ত্রাসীদেরকে শিক্ষকদের ওপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু উপাচার্য নিজেই সন্ত্রাসীর স্বরূপে আবর্তিত হয়েছেন তাই এখন তার বিচারের বিষয় আসে। হয় তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন না হয় সরকার তাকে অপসারণ করবে। কেননা, একজন সন্ত্রাসী উপাচার্য দিয়ে কখনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। তিনি বলেন, উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন। উপাচার্য বলেছেন যে, হলগুলোতে টাকা ও অস্ত্র ঢুকেছে। অথচ তিনি তা প্রমাণ করতে পারেননি। একজন উপাচার্য হয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন। এটির বিচারও হওয়া উচিত।
যে সকল অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে তাদের রিরুদ্ধে শিক্ষকরা কী পদক্ষেপ চায় এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, যারা সার্টিফিকেট নিয়ে গেছে তাদের সার্টিফিকেট বাতিল এবং যারা এখনো ছাত্র আছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য আবেদন করবো।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে এপ্রিল দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, আবু ওবায়দা রাহিদ ও জাহিদ হাসান, স্বপন চন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান শিকদার, জিল্লুর রহমান এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখসহ ২০-৩০ জন বহিরাগত শিক্ষার্থী।