বাউফলে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় তাকিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে বিলবিলাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, দেড় বছর আগে বিলবিলাস গ্রামের গ্রামের মো. ফজলু গাজীর ছেলে মো. মিরাজ হোসেনের সঙ্গে সূর্য্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ে তাকিয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুক দাবি করে আসছিল। তাকিয়ার বাবা ওই দাবি পূরণ করতে না পারায় বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো মিরাজ ও তার পরিবারের লোকজন। গতকাল সকালে যৌতুকের বিষয় নিয়ে তাকিয়ার সঙ্গে মিরাজের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় তাকিয়া যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে মিরাজ  লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকিয়া। একপর্যায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। পরে তার গলায় রশি বেঁধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

তারা তাকিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে খবর প্রচার করতে থাকে। তাকিয়ার বাবা হোসেন আলী জানান, তাকিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে আমাকে বলে আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। যৌতুকের টাকা দিতে পারি নাই বলেই আমার মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। এ কারণেই হাসপাতালে আমার মেয়ের লাশ রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গিয়েছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। এ ঘটনার পর থেকে তাকিয়ার স্বামী মিরাজ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।