বাংলারজমিন
গাজীপুরের তিন উপজেলায় ৩৪ প্রার্থী ১৫৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
৮ মে ২০২৪, বুধবারআগামী ৮ই মে গাজীপুর সদর উপজেলা, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া এই তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৩ জন। তিনটি উপজেলায় সংখ্যা ২৫৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৫৪টি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ)। প্রথম ধাপের সদর উপজেলা নির্বাচনের নির্বাচনী সরঞ্জাম গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তন থেকে গাজীপুর বিতরণ করা হয়। কাপাসিয়া উপজেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। ভোরে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে কেন্দ্রে দেয়া হবে। জেলার তিনটি উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র ২৫৮টি। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এডভোকেট রীনা পারভীন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের আরও তিন নেতা মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম ও মো. কফিল উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। কালীগঞ্জ উপজেলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান এমপি’র অনুসারী আশরাফী মেহেদি এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী নারী সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির অনুসারী হাবিবুর রহমান ও আমজাদ হোসেন স্বপন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
কাপাসিয়া উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানত হোসেন খান ও কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিম নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
ভোট কেন্দ্রসমূহে মোবাইল টিম কাজ করবে, থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতিটি উপজেলায় দুই প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৬-৭ জন সদস্য, আনসার মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া র্যাব, পুলিশের টহল টিম, মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবে। গরমের মধ্যে ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে দ্রুত ভোট দিতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা হবে। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে প্রশাসনের অথবা কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন এমন লোকদের তালিকাও আমরা করেছি। তাদেরকে সতর্কও করা হয়েছে। তাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।
সাবাস।